কিয়েভে রুশ বাহিনীর ৬ শতাধিক ড্রোন নিক্ষেপে প্রাণ গেল ৪ জনের, আহত ৮০

শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েছে ৫৯৫টি ড্রোন এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৪ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮০ জন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি বলেছেন, টানা ১২ ঘণ্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। নিক্ষিপ্ত ৫৯৫টি ড্রোনের মধ্যে ৫৬৮টি এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৪৩টি-কে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে দেশটির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। বাকি যেগুলোকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি, সেগুলোর আঘাতেই ঘটেছে হতাহতের এই ঘটনা।

নিহত এবং আহতদের সবাই বেসামরিক বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি। ব্যাপক এই ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভের কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কিয়েভে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থারও উল্লেকযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

টেলিগ্রাম বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা জি৭ এবং জি২০-কে রাশিয়ার প্রতি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিয়েভের শহরতলি এলাকা। রয়টার্সের সাংবাদিকরা সরেজমিনে সেই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, সেখানে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাঝরাতে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠার পর শহরতলি এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোর ভূ-গর্ভস্থ গ্যারেজ এবং ভূ-গর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলোতে আশ্রয় নেন।

এ ইস্যুতে রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, শুধু সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চলানো হয়েছে। বেসামরিক কোনো এলাকায় হামলা করা হয়নি।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টোকাই ইউটিউবারদের দুর্দিন চলছে : গোলাম মাওলা রনি Sep 29, 2025
img
দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ Sep 29, 2025
img
মোদির পোস্টে নাকভির পাল্টা জবাব Sep 29, 2025
img
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক এমপিসহ ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Sep 29, 2025
img
বাংলাদেশ দল নিয়ে বুলবুলকে গম্ভীরের পরামর্শ Sep 29, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 29, 2025
img
ফেনীতে একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৮ জন Sep 29, 2025
img
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীরা Sep 29, 2025
img
রাশিয়া থেকে এসেছে সাড়ে ৫২ হাজার টন গম Sep 29, 2025
img
দাদাগিরি নয় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বিএনপি: মির্জা ফখরুল Sep 29, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৭৯ ফিলিস্তিনির Sep 29, 2025
img
নতুন প্রজম্মের জন্য প্রবীর মিত্রের নামে ওয়েবসাইট! Sep 29, 2025
img
খাগড়াছড়িতে চলছে ১৪৪ ধারা, থমথমে পরিস্থিতি Sep 29, 2025
img
চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি থেকে বঞ্চিত হতে কখনো দেখিনি, বললেন সূর্যকুমার Sep 29, 2025
img
ভারত ক্রিকেটকে ‘অসম্মান’ করছে: সালমান আলী আগা Sep 29, 2025
img
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Sep 29, 2025
img
যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ইরান: পেজেশকিয়ান Sep 29, 2025
img
মার্কা নিয়ে নির্বাচন কমিশন ছলনা করছে : সারোয়ার তুষার Sep 29, 2025
img
মাদককাণ্ডে মুছে ফেলা ছবি ফেরালেন আরিয়ান খান Sep 29, 2025
img
সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন আর নেই Sep 29, 2025