হ্যান্ডশেক কাণ্ডের পর গতকাল এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে আরও বড় বিতর্কের জন্ম দিল টিম ইন্ডিয়া। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি ও মেডেল নিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। দলটির ক্রিকেটাররা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি না নিয়েই মাঠ ছেড়ে যান।
নাকভি পিসিবি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে তার কাছ থেকে ট্রফি নেয়নি গৌতম গম্ভীরের শিষ্যরা। ভারতের অভিযোগ, এপ্রিলের ওই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা আছে। যা নিয়ে পরে দুই দেশ পরে যুদ্ধে জড়িয়েছিল; ভারত আক্রমণ করে অপারেশন সিন্দুর নামে, পাকিস্তান বুনিয়ানুম মারসুস নামে। এ কারণে ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপপর্বে মুখোমুখি দেখায় টসের সময় ও ম্যাচ শেষে সালমান আলী আগাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেননি সূর্যকুমার যাদবরা।
পরে সংবাদ সম্মেলনে সূর্যকুমার বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় জীবনের কিছু বিষয় স্পোর্টসম্যানশিপের স্পিরিটের চেয়েও এগিয়ে।... বলেছি যে আমরা পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার সব ক্ষতিগ্রস্থ ও তাদের পরিবারের সঙ্গে আছি। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এই জয়টি আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে উৎসর্গ করছি, যারা অপারেশন সিন্দুরে অংশ নিয়েছিল।’
এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান অধিনায়কের অভিযোগ, ভারত ক্রিকেটকে ‘অসম্মান’ করছে। ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে যা হলো, এটা খুবই হতাশাজনক। আপনি যদি দেখেন, তারা মনে করছে হ্যান্ডশেক না করে আমাদের অসম্মান করছে। আসলে তারা ক্রিকেটকেই অসম্মান করছে। যারা ক্রিকেটকে অসম্মান করে, এটা তাদের কাছেই ফিরে আসবে। আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত।’
ভারত না নিলেও পাকিস্তান তাদের মেডেল সংগ্রহ করেছে। যদিও রানার্সআপ ফলক সংগ্রহের পরপরই আগা মঞ্চে থেকেই তা ফেলে দেন। তিনি বলেন, ‘তারা (ভারত) যা করেছে, আমার মনে হয় কোনো ভালো দল তা করে না। ভালো দল আমাদের মতোই করে; আমরা একা একা ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছি, হারের পর মেডেল সংগ্রহ করেছি। আমি কর্কশভাবে বলতে চাই না, তবে খেলাটার প্রতি এটা খুবই অসম্মানজনক।’
ইউটি/টিএ