শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের (জেন জি) আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যত দিন বিক্ষোভ বিষয়ক তদন্ত শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত দেশ ছাড়তে পারবেন না অলি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি নেপালের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান হুতারাজ থাপা এবং আরও দু’জন জ্যেষ্ঠ আমলার ওপর জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরম বন্ধ করা, অর্থনৈতিক সংকট এবং সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু হয় নেপালের রাজধানী কাঠামান্ডুতে। শিক্ষার্থী ও জেন জি’দের ডাকা এই আন্দোলন অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে।
আন্দোলন দমন করতে পুলিশ মোতায়েন করে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি’র নেতৃত্বাধীন সরকার। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাতে ২ দিনে কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হন। বিক্ষোভে দ্বিতীয় দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ কেরন অলি।
অলির পদত্যাগের পর নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। বিক্ষোভ, সহিংসতা এবং সেসময়কার ঘটনাপ্রবাহ তদন্ত করতে একটি কমিশনও গঠন করেছেন তিনি।
আগামী ২০২৬ সালের মার্চে নেপালে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড
এমআর/টিকে