ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় আমেরিকান, ইউরোপ ও আরব দেশগুলো নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন বা সরকার গঠন করা হবে। এই অস্থায়ী সরকারের মূল দায়িত্বে থাকবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই প্রশাসন বা সরকারের অধীনে গাজার মানুষ গাজাতেই থাকবেন। তাদের অন্য কোনো দেশে জোরপূর্বক পাঠানোর চেষ্টা করা হবে না। ইসরায়েল উপত্যকাটি দখল করবে না। গাজা পুনর্নির্মাণ করা হবে। হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষ এই প্রস্তাব মেনে চলে যুদ্ধবিরতির দিকে যাবে, অবিলম্বে যুদ্ধ শেষ হবে।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ৮ মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই সময় এ প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তবে স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হয়। এ সময় এতে সম্মতি জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
হামাসের ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে প্রস্তাবে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা ও হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করা হবে। আর এ কাজে আরব দেশগুলো সহায়তা করবে। এ ছাড়া সুড়ঙ্গসহ হামাসেহামাসের ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা ও হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করা হবে। হামাসের সব অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে। গাজায় লুকানো সংগঠনটির সব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হবে। আর এসব কাজে আরব দেশগুলো সহায়তা করবে।
আরব দেশগুলো এ কাজে ব্যর্থ হলে ইসরায়েল নিজেই এ দায়িত্ব পালন করবে বলে হুমকি দেন ট্রাম্প। হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রী ও নিষ্ক্রিয়করণ করতে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সমর্থন দেবে জানিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, তারা (হামাস) যদি এই ২০ দফা প্রস্তাব গ্রহণ না করে অথবা গহণ করেও নিজেদের পুনর্গঠনের চেষ্টা করে তাহলে ইসরায়েল তাদের নির্মূল করবে।
সূত্র : আল জাজিরা
এসএস/টিএ