নাটোরের বনপাড়ার বনরুপা আবাসিক এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালতের বিচারক তৌহিদুর রহমান সুমন (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট) তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নাটোর কোর্টের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বনরুপা আবাসিক এলাকার খাদিজা খাতুন নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল ও পৌর ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী বিধান, কামরুল ও রনি। এমনকি অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গহনা বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা করা হলে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ তদন্তসাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পায়।
ওই মামলার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার আসামিরা নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির একটি প্রভাবশালী পক্ষের ছত্রছায়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক লুৎফর রহমান এবং পৌর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব সরদার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বহুবার প্রমাণসহ জেলা নেতৃবৃন্দকে তাদের চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তারা আরো বলেন, নাটোর জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের প্রতি অনুরোধ—অতিসত্বর এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন না হয় এবং জনগণ ভয়মুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে পারে।
ইউটি/টিএ