বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, এই প্রজন্ম যখন স্কুলে অথবা কলেজে পরীক্ষা দিতে যেত, সেটা এসএসসি আর এইচএসসি বলেন, পরীক্ষার সময় পড়ালেখা কী হবে, খাতায় কী লিখবে, রেজাল্ট কিন্তু এ প্লাস কিংবা এ’র নিচে দেওয়া যাবে না। কেন কী কারণে সেই সময়ের সরকার এ ধরনের চিন্তা করল যে, পাসের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে? ১৭ বছর জাঁতাকলে পড়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই আমাদের সমাজে শিক্ষকরা অনৈতিক কিছু কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লক্ষ্মীপুর সোসাইটি ও আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আজকে যারা কৃতি শিক্ষার্থী, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তাদের হাতে। একজন রাজনীতিবিদ শুধু মিছিল-মিটিং করবেন, স্লোগান দেবেন, সমাবেশ-মহাসমাবেশ করবেন, এটাই কি শুধু কাজ? যদি সেটাই কাজ হয় তাহলে সেই ধারণা থাকাটাই স্বাভাবিক। এই ধারণা পাল্টে দিতে পারে এ প্রজন্ম। তাদের পক্ষে সম্ভব ভালো নেতৃত্বে আসা, ভালো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেওয়া।
কারণ ৫ আগস্টের পর রাজনীতিবিদদের মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলে একটি গুণগত পরিবর্তন আসা দরকার, এটা জুলাই আন্দোলনে এই প্রজন্ম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই গুণগত পরিবর্তনটা এই সমাজের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজন ছিল।’
আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নেছা খন্দকার, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপি, রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ এইচএম অলি উল্লাহ প্রমুখ।
টিকে/