ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সবসময় মার্জিনালাইজ করা হয়েছে। জুলাই পরবর্তী আজাদি লাভ করলেও আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বঞ্চনা এখনো শেষ হয়নি।
বুধবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৭৮০ সালে এই দেশে আলিয়া মাদরাসা চালু হয়। সে সময় আলিয়া মাদরাসা থেকে বড় বড় আলিম তৈরি হয়েছেন।
মূলত আলিয়া মাদরাসায় একজন শিক্ষার্থী যেমন হাদিস কোরআন সম্পর্কে জানে, তেমনি একইভাবে সমসাময়িক বিষয়, রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি সম্যক জ্ঞান লাভ করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা আশা করেছিলাম- সব শিক্ষার্থীরা সমান অধিকার পাবে। অথচ স্বাধীনতা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের ওপর অন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভারতের প্রেসক্রিপশনে তৈরি করা হয়েছিল।
ফলে আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সবসময় মার্জিনালাইজ করা হয়েছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এ রকম বৈষম্য করা হয়েছে। অনার্স মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস থাকা সত্ত্বেও শুধু মাদরাসা শিক্ষার্থী বলে তাকে শিক্ষক করা হয়নি।
সাদিক কায়েম বলেন, জুলাই পরবর্তী আমরা আজাদি লাভ করলেও আমাদের আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বঞ্চনা এখনো শেষ হয়নি।
আমরা চাই আমাদের দেশের সবাই ন্যায্য অধিকার পাবে। ইংরেজি মিডিয়াম, বাংলা মিডিয়াম, আলিয়া সবাই একই অধিকার পাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের থেকে আমরা এই আশা করি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে ভঙ্গুর এবং করুণ অবস্থায় রয়েছে। ফাজিল, কামিল কিংবা আলিম পাস করার পরেও একজন শিক্ষার্থী প্রোপারলি আরবিতে কথা বলতে পারে না। পাশাপাশি শিক্ষকদেরকেও যথাযথ প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।
আমরা যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করতে না পারি তবে আমরা কাঙ্ক্ষিত মানের শিক্ষার্থী তৈরি হবে না।
তিনি আরো বলেন, বহির্বিশ্বে যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের গ্রুমিং করা হয় বলে তারা বড় বড় ইসলামিক স্কলারে পরিণত হয়। আমাদেরও বাংলা, ইংলিশ মিডিয়ামসহ বর্তমান যুগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত।
কেএন/টিএ