যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র বাহিনী ইরাকে তাদের উপস্থিতি কমাচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মধ্য দিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশটিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা মিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী সমাপ্তির পথে যাচ্ছে।
গত বছর আইএস দমন করতে ২০১৪ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক জোটের ইরাকে সামরিক মিশন ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শেষ হবে বলে ওয়াশিংটন ও বাগদাদ একমত হয়।
এক বিবৃতিতে জানান পেন্টাগন মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, ‘এই হ্রাস আমাদের যৌথ সাফল্যকে প্রতিফলিত করছে এবং একটি স্থায়ী যুক্তরাষ্ট্র-ইরাক নিরাপত্তা অংশীদারিত্বে রূপান্তরের প্রচেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ইরাক সরকার ও জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় চালিয়ে যাব, যাতে একটি দায়িত্বশীল রূপান্তর নিশ্চিত করা যায়।
তবে জোটের সামরিক অভিযান সিরিয়ায় অব্যাহত থাকবে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সেনারা ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চল থেকে সিরিয়ার অভ্যন্তরে আইএসবিরোধী অভিযানে সহায়তা করতে পারবে।
গত এপ্রিলে পারনেল আলাদাভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় মোতায়েন থাকা সেনার সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনবে, যা হবে এক হাজারেরও কম।
যদিও ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস বড় ধরনের পরাজয়ের মুখে পড়েছে, তবু গ্রামীণ অঞ্চলে গোষ্ঠীটির কিছু যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে। তাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে বিমান হামলা ও অভিযান চালিয়ে আসছে।
আইকে/টিএ