আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির নির্বাচন। সারাদেশের এক লাখের বেশি রুকন সদস্য অংশ নেবেন গোপন প্রত্যক্ষ ভোটে। গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতায় জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই ভোট বদলে দিতে পারে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাঠামো।
প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃসময় কাটিয়েছে গত দেড় দশক। ২৪ এর অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত রাজনীতির ময়দানে বেশ স্বস্তিতে থাকা দলটি এরইমধ্যে আবির্ভূত হয়েছে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে। একদিকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজপথে সরব দলটি। অন্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী ঠিক করে ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছে জোরেশোরে। এরমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে আগামী ডিসেম্বরে দলটির সর্বোচ্চ নেতার পদসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারে পরিবর্তন।
জামায়াতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদটির নাম ‘আমির’। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সারা দেশে থাকা দলটির রুকন সদস্যদের ভোটে তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন একজন আমির৷ তিনিই পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যদের পরামর্শক্রমে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারিসহ নির্বাহী দায়িত্বশীল পদগুলোতে দলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন৷ বর্তমানে আমির পদে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করা ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরে।
দলটির গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আমির নির্বাচনের জন্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যরা তিন জনের একটি প্যানেল নির্বাচন করেন৷ সাধারণত এই প্যানেল থেকে সারা দেশের রুকন সদস্যরা গোপন ভোটে একজনকে নির্বাচিত করেন দলটির আমির হিসেবে৷ তবে প্যানেলের বাইরেও যে কাউকে ভোট দিতে পারেন ভোটাররা৷
দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে আমির নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য প্যানেল নিয়ে আলোচনা চলছে দলটির মধ্যে। যেটির একটিতে আছেন বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলামের নাম। অন্য প্যানেলটিতে এটিএম আজহারের পরিবর্তে আছেন বর্তমান আরেক নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের নাম।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, ২৫ ডিসেম্বরের আগে দলের নির্বাচন সারবেন তারা। জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ থাকবে নতুন আমিরের কাঁধে।
ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পান জামায়াতের আমিরের। ২০২২ সালের নভেম্বরে নির্বাচিত হন দ্বিতীয়বারের মতো৷ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে আমির নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও একজন ব্যক্তি কতবার আমির হতে পারবেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই৷ সমন্বয় কমিটি।
এবি/এসএন