চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই বিপ্লবকে টেকসই করতে হলে প্রভিশনাল সাংবিধানিক আদেশে জুলাই সনদকে আইনি মর্যাদা দিতে হবে। নামে বেনামে পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। স্বৈরাচারের দোসর ‘ওলামায়ে সূ’ (ধর্ম ব্যবসায়ী) এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জামায়াতের কার্যালয়ে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ভোট পেয়ে ফ্যাসিস্ট হওয়ার আশঙ্কা রোধ করতে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক হার তথা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন দিতে হবে। লুটেরা ও খুনিদের বিচার দৃশ্যমান এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাসে আলেমরা জুলুমের বিরুদ্ধে, পরাধীনতার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ওলামা -মাশায়েখের ভূমিকা ইতিহাসের অবিচ্ছিন্ন অংশ। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আলেম শাহাদাত বরণ করেছেন, পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে ওয়াজ-নসিহত ও জুমায় খুতবায় অসংখ্যা দেওয়ার কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় আলেম অপদস্ত হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন, চাকুরিচ্যুত হয়েছেন এবং শাহাদাত বরণ করেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ ওলামা মাশায়েখদের ত্যাগ কুরবানি স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খাইরুল বাশার ও মোহাম্মদ উল্লাহ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা মমতাজুর রহমান, মাওলানা মোহসিন আল হোসাইনী, মাওলানা সাফওয়ান বিন হারুন আল আযহারী, হাফেজ বেলাল হোসেন, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
পিএ/টিএ