রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এক অদ্ভুত টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে হচ্ছে। দীর্ঘ দিনের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পতনের পর দেশের জনগণ ভেবেছিল এখন হয়তো একটা স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। আগামী বছরের শুরুর দিকে যে জাতীয় নির্বাচন হবার কথা সেটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি, দ্বন্দ আর অস্থিরতার রাজনীতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে তেমনি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথ আরো অনিশ্চিত হচ্ছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন। জিল্লুর রহমান বলেন, সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ দেখা দিয়েছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালুর প্রশ্নে। গণতন্ত্রের মূল কাঠামোকে সংস্কারের প্রশ্নে দলগুলো মূলত নিজেদের স্বার্থের দিকেই তাকাচ্ছে। দেশের জন্য কি ভালো হবে সেই প্রশ্নটা পেছনে পড়ে যাচ্ছে। সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া এই ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব নয় সেটা।
জিল্লুর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে এমন বড় পরিবর্তনের ম্যান্ডেটও নেই। অথচ তারা কখনো ইঙ্গিত দিচ্ছে এই পথে এগুনোর, কখনো আবার পিছিয়ে আসছে। এতে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি আরো বাড়ছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে না কি হতে যাচ্ছে। সরকার বলছে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে কিছু বক্তব্য বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
জিল্লুর আরো বলেন, অস্পষ্টতা ইচ্ছে করে তৈরি করা হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। রাজনীতির এই দ্বন্দ ও বিভ্রান্তির পাশাপাশি দেশের ভেতরে আইন-শৃঙ্খলার অবনীতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সহিংসতা, ধর্ষণের অভিযোগ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এসএস/টিএ