আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে : চিফ প্রসিকিউটর

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রক্রিয়া চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ হয়েছে। খুব দ্রুতই তদন্তকাজ শেষ করবেন তারা। প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে দল হিসেবে বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যাপারে আবেদন আগেরই ছিল। যেহেতু সব আবেদন একসঙ্গে নিষ্পত্তি করা সম্ভব ছিল না। তাই ক্রমান্বয়ে এসব করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া আদালতে সাক্ষীদের দেওয়া বিভিন্ন জবানবন্দি এক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক দলিল হিসেবে কাজ করবে। সাক্ষ্যগুলো অন্যতম প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

এ সপ্তাহে বেশ কিছু ঘটনা ঘটবে বলা হয়েছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা বলেছি আরও বেশ কয়েকটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হবে। এ সপ্তাহের মধ্যেই হবে আশা করছি।

দল হিসেবে সাজা প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, দলকে তো আর সাজা দেওয়া যাবে না। কিন্তু দলকে কী ধরনের সাজা দেওয়া যাবে সেটা কিন্তু আইনে বলা আছে। যেমন দলকে নিষিদ্ধ করা বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সাজা দেওয়া বা তাদের নেতাকর্মীর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা ইস্যু করা। এসব আইনে রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারেই তদন্ত শুরু হয়েছে। যেসব দল জড়িত ছিল তাদের ব্যাপারেও যদি তদন্ত হওয়া দরকার, তাহলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে তদন্ত সংস্থা।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এতে বলা হয়, গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটকেও দায়ী করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্তের পরই নেওয়া হবে বিচারের ব্যবস্থা।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চলচ্চিত্রের সীমা ছাড়িয়ে দেশের সাধারণ মানুষের প্রতীক হয়ে আসছেন শাকিব Oct 07, 2025
img
থাম্মা ছবিতে প্রেম, হাস্যরস ও থ্রিলের মিশ্রণ Oct 07, 2025
img
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান দূতের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক Oct 07, 2025
img
মুখে মুখে প্রশংসা, প্রযুক্তিগত ত্রুটি কমানোর দাবি দর্শকদের Oct 07, 2025
img
শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের Oct 07, 2025
img
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামছুর রহমানের বিদেশ যাত্রায় বাধা Oct 07, 2025
img
অতীত প্রেমের গুঞ্জন আবারও আলোচনায় Oct 07, 2025
img
হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার মাস্টারমাইন্ড নিয়ে মন্তব্য রনির Oct 07, 2025
img
আ. লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদী Oct 07, 2025
img
জনের সঙ্গে ফের যৌথ প্রয়াস অরুণের Oct 07, 2025
img
আমের পর এবার কমলালেবু কাণ্ডে জড়ালেন অক্ষয় কুমার Oct 07, 2025
img
আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে ছাত্রদল-শিবিরের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি Oct 07, 2025
img
চার দিনেই কেজিএফকে ছাড়িয়ে গেল কান্তারা এক Oct 07, 2025
img
বড়দিনে আসছে না ডাকাত, অপেক্ষায় ভক্তরা Oct 07, 2025
img
মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ! Oct 07, 2025
img
কেউ যদি বাহুবলে কথা বলে তার পরিণতি হাসিনার মতোই হবে : সালাহউদ্দিন Oct 07, 2025
img

চাকসু নির্বাচন

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়ালেন ২ প্রার্থী Oct 07, 2025
img
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের নতুন সূচি প্রকাশ করল বিসিবি Oct 07, 2025
img
নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল Oct 07, 2025
img
ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে তীব্র ব্যঙ্গ থুনবার্গের Oct 07, 2025