ছয় বছর আগে ছাত্রলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কথা স্মরণ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাইর পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যু আমাদের ভয়ংকর রাজনীতির এক কালো অধ্যায়। একই সঙ্গে দেশে রাজনীতির নামে যে নীতিহীন স্বার্থবাদের প্যারাডাইম তৈরি হয়েছিল তারও একটি উদাহরণ।’
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধকল্পে বিদ্যমান রাজনৈতিক প্যারাডাইম বদলাতে হবে। নতুন বন্দোবস্তের রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘জান্নাতে আবরার ফাহাদের মর্যাদা আরো উন্নত হোক, এই দোয়া করি। তার মা-বাবা, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে আবরারের রক্তের দায় শোধ করার জন্য বাংলাদেশপন্থী ইতিবাচক রাজনীতি ও সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বহুমুখী মাত্রা আছে। আবরারের মৃত্যু তার একটি দিক। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও বুয়েটের ছাত্র। তারাও মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মেধাবী সেই ছেলেগুলোকে খুনিতে রূপান্তরের দায় পুরনো বন্দোবস্তের রাজনীতিকে এবং আওয়ামী লীগকে নিতেই হবে। অশুভ সেই রাজনীতি আমাদের হাজারো সন্তানকে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। হাজারো সন্তানকে খুনিতে রূপান্তরিত করেছে।’
আমরা আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে আসছি। আবরার হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকার বিচার করলেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। কারণ, যে দল তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্মম খুনিতে পরিণত করে, যে দল ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বলার কারণে দেশের নাগরিককে হত্যার উসকানি দেয় তারা সব বিবেচনাতেই দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে সাব্যস্ত হবে, বলেন তিনি। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে পুরনো বন্দোবস্তকে আর সুযোগ দেওয়া যায় না। সুযোগ দেওয়া হবে না। আজকের দিনে এটাই হোক আমাদের সম্মিলিত প্রতিজ্ঞা।’
ইউটি/টিকে