ভারতীয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় এবার সামনে এলো আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জুবিনের মৃত্যুর আগে তার দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
জুবিন গর্গের মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। এই মুহূর্তে ঘটনার তদন্তভার বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি) হাতে। ঘটনায় এরইমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন চারজন।
নিরাপত্তারক্ষীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের তথ্য সামনে আসার পরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইডি-র (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর আনন্দবাজারের।
তার মৃত্যুর ঘটনায় কোনো আর্থিক বিষয় জড়িত কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। হিমন্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আশা করি কেন্দ্রীয় সংস্থা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
জুবিনের মৃত্যুর ঘটনায় এসআইটি গ্রেপ্তার করেছে প্রয়াত গায়কের আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মাকে। সিদ্ধার্থ ছাড়া জুবিনের ব্যান্ডের সদস্য শেখরজ্যোতি গোস্বামীকেও গ্রেপ্তার করেছে এসআইটি। ‘নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজক শ্যামকানু মহান্ত ও আর এক সঙ্গীতশিল্পী অমৃতপ্রভ মহান্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কীভাবে মৃগীরোগী জুবিনকে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া জলে নামতে দেয়া হল, সেই প্রশ্ন বার বার তুলছেন অনুরাগীরা। জুবিনের ব্যান্ডের আরেক সদস্য পার্থপ্রতিম গোস্বামীর দাবি, সিদ্ধার্থ ও শেখরজ্যোতি মৃত্যুর আগের রাতে জুবিনকে ঘুমাতে দেননি। পরের দিন সকালে নিজেদের আমোদের জন্য সমুদ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন জুবিনকে। এই কারণে সিদ্ধার্থ ও শেখরজ্যোতিকে তিনি কোনো দিন ক্ষমা করবেন না বলেও জানিয়ে দেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জুবিন গর্গ। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রথমে জানানো হয় সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসছে সহশিল্পীদের দেয়া একের পর এক নতুন তথ্য। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, গায়কের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
কেএন/টিকে