পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে, এখানে প্রশ্ন তোলার আর কোনো সুযোগ বা অবকাশ আছে বলে আমরা মনে করছি না।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি যে পরিস্থিতি একদমই স্থিতিশীল আছে। শুধু যে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে তা নয়, সব রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশনের পক্ষে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে, এখানে প্রশ্ন তোলার আর কোনো সুযোগ বা অবকাশ আছে বলে আমরা মনে করছি না।
অন্তর্বর্তী সরকার একটা ভালো নির্বাচন করতে চাচ্ছে, ইনক্লুসিভ নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আসলে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের সংজ্ঞাটা আপনাদের কাছে কী? একটা বড় দল এখানে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না সেটা নিয়েও এক ধরনের প্রশ্ন রয়েছে?—এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকার প্রথম থেকে বলেছে একটা স্বচ্ছ নির্বাচন, জনগণ যেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে সেই নির্বাচনটা চায় এবং জনগণের অংশগ্রহণের পথে যাতে কোনো কিছু অন্তরায় না হয় সেজন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে যতভাবে সহায়তা দেওয়া যায় ততভাবে সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না করার বিষয়টা আইনি হতে পারে। অংশগ্রহণ করা না করার বিষয়টা তাদের পলিটিক্যাল ওয়েটেজ অনুযায়ী ডিসাইডেড হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনকালীন সরকারের কথা তিনি শোনেননি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই নির্বাচন করবে।
নির্বাচনের আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিচার কখন হবে, সেটা তো আসলে পুরো শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হবে, সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হবে, তার পরে বলা যাবে। আমি তো তার আগে বলতে পারবো না যে অক্টোবর মাসে রায় হবে। প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বলা যাবে যে, হবে কি না। আমরা সেই পথেই এগোচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে ক্যালেন্ডার সেই ক্যালেন্ডারে তো আমরা এখনো কোথাও ফেল করিনি। ফলে বিচারাধীন যে মামলাগুলো আছে, সেগুলোর বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলেই হবে এবং দেড় বছরে বিচারের রায় হয় এটা তো অসম্ভব কিছু না। এর আগে তো আমরা দেখেছি যে দেড় বছরে বিচারের রায় হয়। আমরাও আশা করবো যে রায় হয়তো হবে।
ইএ/টিকে