টি-২০ সিরিজ জেতা বাংলাদেশকে যে আফগানিস্তান ২২১ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল, সেটার পেছনে বড় অবদান ছিল আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের।ওয়ানডের বর্ষসেরা এই ক্রিকেটার ৪০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরে লক্ষ্য তাড়ায়ও গুরুত্বপূর্ণ রান করে দিয়ে যান। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৫ উইকেটে জিতলো আফগানিস্তান।
আবু ধাবিতে ২২১ রান করা বাংলাদেশ আফগানিস্তানের ওপর সেভাবে চাপই সৃষ্টি করতে পারেনি। যে দুবার কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল, একবার রহমত শাহ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের জুটিতে, আরেকবার ওমরজাইয়ের ব্যাটে উড়ে যায়। রশিদ খানরা অর্ধশত রান করে ফেলার পর ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশ। পরপরই তানজিম সাকিব তুলে নেন সেদিকুল্লাহ অটলের উইকেট। গুরবাজ ও রহমত এরপর ৭৮ রানের জুটি গড়েন।
রহমত শাহ ৫০ রান করে সাকিবের শিকার হওয়ার পরের ওভারে মেহেদী মিরাজে বিদায় নেন গুরবাজও। এই ওপেনারও করেন ৫০ রান। সেই ছোট ধাক্কা ওমরজাই ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদির ব্যাটে ‘নাই’ করে দেয় আফগানিস্তান। ওমরজাই ৪৪ বলে দ্রুত ৪০ রানের ইনিংস খেলে সাকিবের বলে তানভীর ইসলামকে ক্যাচ দেন।
ওমরজাইয়ের ইনিংসে আফগানিস্তান একপ্রকার জয়ের বন্দরেই পৌঁছে যায়। শহিদি ও মোহাম্মদ নবি অপরাজিত থেকে ১৭ বল বাকি রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে দলকে জেতান। সাকিব ৩ উইকেট নেন ৩১ রানে। একটি করে উইকেট পান তানভীর ও মিরাজ।
এই ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলে ঢোকার পর টি-টোয়েন্টি দিয়ে নজর কাড়া সাইফ হাসানের। অভিষেকে ২৬ রান করেছেন তিনি। তার ইনিংসটিই অবশ্য দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার চেয়ে বেশি রান করেছেন যে দুজন, দুজনেই পার করেছেন ফিফটির ঘর।
মিরাজ ৮৭ বলে ৬০ ও তাওহীদ হৃদয় ৮৫ বলে ৫৬ রান করেন। কিন্তু দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের হয়ে বাকিদের মধ্যে তানজিম সাকিব ১৭, তানভীর ১১ ও তানজিদ হাসান ১০ রান করেন। ওমরজাইয়ের মতো রশিদ খানও নেন ৩ উইকেট, ৩৮ রানের বিনিময়ে। আল্লাহ গজনফর নেন ২ উইকেট।
এমআর