চব্বিশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে জামায়াত। গত ডিসেম্বরেই ৩০০ আসনের প্রার্থিতার প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করে দলটি। ভোটারদের কাছে টানতে কর্মসূচির পাশাপাশি চলছে নানা সেবামূলক কার্যক্রমও।
সেই কৌশলে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়েছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবির। জাতীয় নির্বাচনেও নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছে জামায়াত।
তবে, প্রশ্ন উঠেছে দলটির নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু কার্যক্রম নিয়ে। ভোটারদের প্রলুব্ধ করতে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের কারও কারও বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের। তিনি বলেছেন, একটাও প্রমাণ নেই।টাকা ছড়াবে কেন? এগুলো হচ্ছে যে অহেতুক কথাবার্তা, যেমন উনারা বলেন যে ১৬টা ভিসি জামায়াত ইসলামীর। তো কে কে নাম-তালিকা ঘোষণা করুক। আমরা তো বলেছি যে ঠিক আছে, যদি যুক্তির জন্য ধরে নিলাম সত্যিই হয় তো ১৬টা, আর বাকি ভিসিরা কাদের? ওরাও তো একটা দলের।সেটা তো বলেন না।
যদিও অনিয়মের অভিযোগে এরইমধ্যে সরিয়ে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাজাহান চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতাকে।
এ নিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ারের ভাষ্য, সাংগঠনিক প্রয়োজনে কিছু জায়গায় নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে, অনিয়মের কারণে নয়।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বললেন, গণমাধ্যমে যেসব বিষয় এসেছে এগুলো কোনও কারণ নয়। আমাদের সাংগঠনিক প্রয়োজনে কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে আমরা ওখানে নতুন ভারপ্রাপ্ত আমির নির্বাচন করেছি। আর বড় কথা হলো যে মানুষ তো ত্রুটি-বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে কেউ না।
জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলছেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনও কাজে কেউ জড়িত হলে ছাড় দেয় না জামায়াত। যখনই জানতে পারেন তখন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেন।
এমআর/টিকে