মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ট্রাম্পের স্বাস্থ্য অসাধারণ এবং তার ‘হৃদযন্ত্রের বয়স’ প্রকৃত বয়সের তুলনায় প্রায় ১৪ বছর কম। অর্থাৎ ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পের ‘হৃদযন্ত্রের’ বয়স ৬৫ বছর বয়সী লোকেদের মতো কাজ করছে।
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক বয়সে দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট। অফিসে থাকাকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যস্ত কর্মসূচি রাখছেন। গত রবিবার গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতার পর তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। চিকিৎসক শন বারবাবেলা মেমোতে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্য। তার রয়েছে শক্তিশালী হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, স্নায়ু, যা শারীরিক সক্ষমতা দেখিয়েছে।
আসন্ন আন্তর্জাতিক ভ্রমণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ট্রাম্প সব স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। মেমোতে বলা হয়েছে, ‘তার হৃদযন্ত্রের বয়স তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে প্রায় ১৪ বছর কম।’ ট্রাম্পের স্বাস্থ্য এক বছর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পুনর্নির্বাচন দৌড় থেকে সরে যাওয়ার পরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। গত বছরের নির্বাচনে ট্রাম্প নিজেকে বাইডেনের তুলনায় তরুণ এবং ফিট হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোয়াইট হাউসের একটি মেমোতে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১৯০ সেমি) লম্বা, ২২৪ পাউন্ড (১০২ কেজি) ও উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দৃঢ়তা এবং গল্ফ খেলার দক্ষতার প্রশংসা করা হয়েছিল তার মেমোতে।
তবে জুলাইয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্পের নিচের পায়ে ফোলা এবং ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা দিয়েছে। প্রকাশিত ছবিতে তার গোড়ালি ফোলা দেখা গেছে এবং মেকআপ দিয়ে হাতের ক্ষত ঢেকে রাখা হয়েছে।চিকিৎসক বারবাবেলা হোয়াইট হাউসকে জানিয়েছিলেন, শিরার সমস্যার কারণে পা ফুলে গেছে, যা বিশেষ করে ৭০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।
এ ছাড়া ঘন ঘন করমর্দন এবং অ্যাসপিরিন ব্যবহারের ফলে হাতে দাগ দেখা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ কমিয়ে দিয়েছে, তবে পায়ের সমস্যার চিকিৎসার বিস্তারিত উল্লেখ করেনি। ২০২০ সালে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর হোয়াইট হাউস তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর এবং অস্বচ্ছ তথ্য প্রদান করেছিল।
সূত্র : রয়টার্স
এসএস/এসএন