সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাদাগাস্কারে ছাত্র-জনতার সাথে যোগ দিলো সেনাবাহিনী

মাদাগাস্কারে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সাথে যোগ দিলে দেশটির কিছু সেনা সদস্য। প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনার বিরুদ্ধে চলা এই আন্দোলনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে মাঠ নেমেছে সেনা সদস্যরা।

গত ২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেন-জি নেতৃত্বাধীন আন্দোলন শনিবার (১১ই অক্টোবর) আরও বড় আকার ধারণ করে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমবার রাজধানীর মে ১৩ স্কোয়ারে প্রবেশ করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করার পর যখন কিছু সেনা সদস্য সেখানে পৌঁছান, তখন আন্দোলনকারীরা তাদের উল্লাস করে স্বাগত জানান।

সৈন্যরা বিমানবন্দর ও অন্যান্য ক্যাম্পের সেনাদের প্রতিও আহ্বান জানান যেন তারা 'গুলি করার আদেশ মানতে অস্বীকার করে'।

স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখা যায়, কিছু সৈন্য তাদের ব্যারাক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং কঠোর পাহারায় থাকা মে ১৩ স্কোয়ারে বিক্ষোভকারীদের ঢুকতে সাহায্য করেন।
শুরুতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল বিদ্যুৎ ও পানির অভাব নিয়ে, যা পরে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলনে পরিণত হয়। তবে কতজন সৈন্য এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

নতুন সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী জেনারেল ডেরামাসিনজাকা মানান্টসোয়া রাকোটোয়ারিভেলো সৈন্যদের শান্ত থাকার এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'মাদাগাস্কারের সেনাবাহিনী দেশের শেষ ভরসা এবং মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে।'

উল্লেখ্য, বিক্ষোভের শুরুতে রাজোয়েলিনা পুরো সরকার ভেঙে দিয়েছিলেন। তবে পরে তিনি কঠোর অবস্থানে ফিরে আসেন এবং সামরিক কর্মকর্তা রুফিন ফরচুনাট জাফিসাম্বোকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী থেকে তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের বেছে নিয়েছেন। এর আগে ২০০৯ সালে গণবিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল এবং সেই সময় সেনাবাহিনী রাজোয়েলিনাকে প্রথমবার ক্ষমতায় এনেছিল। রাজোয়েলিনা এরপর ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের বিরোধী দল বর্জিত নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাবা-ভাইসহ অভিনেত্রী মাসুমি গ্রেপ্তার Dec 09, 2025
img
এক্স-কে ১৪০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা, ক্ষুব্ধ ট্রাম্প Dec 09, 2025
img
একই গ্রামে ৩ এমপি প্রার্থী Dec 09, 2025
img
মিথ্যা ভ্রম নয়, বাস্তব সম্পর্কেই বিশ্বাস অনামিকার Dec 09, 2025
img
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৮৩৭ মামলা ডিএমপির Dec 09, 2025
img
চট্রগ্রামে এক সঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী Dec 09, 2025
img
বিজয় দিবসে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা দেখাবে প্রেক্ষাগৃহ Dec 09, 2025
img
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই দেশবাসীর কামনা : টুকু Dec 09, 2025
img
বিজয় দিবসে টিকিট ছাড়াই ঘুরে দেখা যাবে জাদুঘর Dec 09, 2025
img
৬০ ঘণ্টা হ্যান্ডকাফ-শেকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র Dec 09, 2025
img
যশোরে মহিলা লীগ নেত্রী মহুয়া গ্রেপ্তার Dec 09, 2025
img
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় স্লিপার বাস, প্রাণ হারাল ১ Dec 09, 2025
img
এপিবিএন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার Dec 09, 2025
img

উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নির্বাচন দেওয়ার শর্ত ছিল না অন্তর্বর্তী সরকারের Dec 09, 2025
img
স্মৃতির কঠিন সময়ে পাশে জেমাইমা, বিগ ব্যাশ ছেড়ে দেশে রয়ে গেলেন Dec 09, 2025
img
ভূমিকম্পে আটকে পড়লে কী করবেন? Dec 09, 2025
img
প্রথমবারের মতো ওমরাহ পালন করতে গেলেন জায়েদ খান Dec 09, 2025
img
নারী জাগরণের আলোক দিশারী বেগম রোকেয়া: তারেক রহমান Dec 09, 2025
img
খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে আরও অপেক্ষা করবে মেডিক্যাল বোর্ড Dec 09, 2025
img
নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন বেগম রোকেয়া : প্রধান উপদেষ্টা Dec 09, 2025