বিশ্বজুড়ে ৫০০ কোটি রুপি আয় ছুঁয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে কান্তারা: চ্যাপ্টার ওয়ান। এই সাফল্যের পরও নির্মাতা ঋষভ শেঠি থেমে নেই। দিল্লি সফরে এক হৃদয়গ্রাহী সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, কান্তারা ইউনিভার্স তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের গভীর শিকড়ে প্রোথিত-দৈব ও কোলা নামের সেই আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের গল্পেই তাঁর শৈশব গড়ে উঠেছে।
ঋষভ এই গল্পগুলোকে বলেন ‘আজ্জি কথে’-অর্থাৎ দিদিমার গল্প। তাঁর ভাষায়, চ্যাপ্টার ওয়ান কেবলই এক প্রবেশদ্বার, যেখানে দর্শকরা পা রাখছেন এক বিশাল ‘মায়া লোক’-এর ভেতরে। এই প্রথম অধ্যায়ে মূল কাহিনির পূর্বপুরুষদের জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কান্তারার সূচনা।
শেঠির মতে, এটি তাঁর সবচেয়ে জটিল ও গভীর চিত্রনাট্য। তবু তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “এই গল্পগুলোর কোনো নির্দিষ্ট শুরু বা শেষ নেই; কান্তারা এক চলমান জগত, যা নিজে নিজেই বিকশিত হচ্ছে।”
দক্ষিণ ভারতের সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করে ঋষভ আরও জানান, তেলেগু ভাষা শেখারও ইচ্ছা তাঁর রয়েছে, যাতে আঞ্চলিক সংযোগ আরও গভীর হয়।
এখন কান্তারা আর শুধু একটি সিনেমা নয়-এটি এক জীবন্ত কিংবদন্তি, যা সময়ের সীমানা পেরিয়ে গড়ে তুলছে নতুন এক লোককথার মহাবিশ্ব।
টিকে/