লাহোর টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেই দ্বিতীয় দিন শেষ করলো পাকিস্তান। অন্যদিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে কিছুটা ব্যাকফুটেই আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা, আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নোমান আলীর ঘূর্ণিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৬ রান। পাকিস্তানের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে ১৬২ রানে। ৬২ রানে থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ৭৫ রানেই থামে তার ইনিংস। ১৪০ বলের ইনিংসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ২টি করে চার ও ছক্কা।
রিজওয়ান আউট হলে ভাঙে সালমানের সঙ্গে ১৬৩ রানের জুটি। ৩৬২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ৩৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। অর্থাৎ মাত্র ১৬ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ৫২ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিলেন সালমান আলী। শেষ পর্যন্ত দশম ব্যাটার হিসেবে আউট হয় তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রান। ফলে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
১৪৫টি বলের ইনিংসে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন সেনুরান মুথুসামি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই পাকিস্তানকে অলআউট করে দিলেও দিনশেষে স্বস্তিতে নেই সফরকারীরা। ২০০ রান তুলতেই ৬ ব্যাটারকে হারায় তারা। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৬ রান। টপ অর্ডার কিছুটা ভালো করলেও মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ।
এইডেন মারক্রাম ফেরেন ৩৭ বলে ২০ রান করে। তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান স্পিনার নোমান আলী। ভিয়ান মুল্ডারের উইকেটও তুলে নেন তিনি। ৪১ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন তিনে মুল্ডার। এরপর ৯৪ রানের জুটি গড়েন টনি ডি জর্জি ও রায়ান রিকেলটন। ওপেনার রায়ানকে সাজঘরে ফেরান সালমান। ১৩৭ বলে ৭১ রান করে আউট হন রায়ান। ৯ চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার। তারপর ত্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইন ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস বিদায় নেন দ্রুতই। ফলে ২০০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেনুরান মুথুসামিকে নিয়ে দিন শেষ করেছেন টনি ডি জর্জি। ৮১ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন জর্জি। তিনি খেলেছেন ১৪০টি বল। দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৬ রান। প্রোটিয়ারা পিছিয়ে আছে এখনও ১৬২ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন নোমান আলী। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সালমান ও সাজিদ খান।
এসএস/এসএন