গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, যুদ্ধ শেষ হলেও আলোচনা এখনো শেষ হয়নি।
আজ ট্রাম্প মিসরের শারম আল শেখে যাচ্ছেন, যেখানে গাজা চুক্তির আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা, বিশেষ করে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন, যা তার পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি ট্রাম্পের জন্য আরেকটি কূটনৈতিক সাফল্য, কারণ ব্যক্তিগতভাবে তার মধ্যস্থতাতেই এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে। ইসরায়েলি সংসদে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, এটি ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর’।
তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এটি তার ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনার মাত্র প্রথম ধাপ। এখনো বড় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যেমন হামাসের ভবিষ্যৎ, ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের পরিসর এবং গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, এসব প্রশ্নের এখনো সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। ট্রাম্প যদি এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত থাকেন, তাহলে অগ্রগতি সম্ভব হতে পারে। তবে দীর্ঘ ও জটিল আলোচনায় তার ধৈর্যের অভাব এবং সূক্ষ্ম বিষয়গুলোতে আগ্রহহীনতা অতীতেও লক্ষ্য করা গেছে।
ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, তিনি আব্রাহাম চুক্তির (Abraham Accords) পরিধি বাড়াতে চান। যে চুক্তির মাধ্যমে তার প্রথম মেয়াদে ইসরায়েল চারটি আরব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। এবার তার লক্ষ্য ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করা।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ না করলে সেই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়, যা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে আশার সঞ্চার হলেও, কেবল বক্তৃতা বা চুক্তির কাগজে নয়, টেকসই শান্তি আসবে বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমেই, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউটি/টিএ