ফিলিস্তিনে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। উপত্যকাটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ইতোমধ্যেই এই বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগে সহায়তা দেবে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বুধবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে একটি স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন। এই বাহিনীকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ২০০ সেনা মোতায়েনের সম্মতি দিয়েছে, তবে তারা সরাসরি গাজায় প্রবেশ করবে না।

মার্কিন ওই দুই উপদেষ্টা জানান, গাজা উপত্যকায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। এক উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন মূলত পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এই বাহিনীতে অবদান রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কাতার ও আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা করছে।

উপদেষ্টারা জানান, বর্তমানে প্রায় দুই ডজন মার্কিন সেনা ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং তারা মূলত সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্বে আছেন।

সম্প্রতি হামাস ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গাজা সিটিতে সাতজনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর বেসামরিক লোকজনকে এ ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করতে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান তারা।

দ্বিতীয় উপদেষ্টা বলেন, কোনও ফিলিস্তিনিকেই গাজা উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না। হামাসমুক্ত এলাকাগুলোতে পুনর্গঠনকাজের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টারা আরও জানান, নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ উদ্ধারে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ তাদের দেহাবশেষ ধ্বংসস্তূপ ও বিস্ফোরিত না হওয়া অস্ত্রের নিচে চাপা পড়ে আছে, ফলে উদ্ধার অভিযান প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।

তারা বলেন, দেহাবশেষের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাইয়ারা’র সাফল্যের পর নতুন প্রস্তুতি আহানের Oct 16, 2025
img
জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পুরোপুরি যোগ্যতা উপদেষ্টাদের নেই : রাশেদ খান Oct 16, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল Oct 16, 2025
img
আবেগের কারণে আম্মা এগুলো বলেছে : রিপন মিয়া Oct 16, 2025
img
‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেড়িয়ে আসার কারণে পাসের হার কমেছে’ Oct 16, 2025
img
শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন Oct 16, 2025
img
সেরা অভিনেতার স্বীকৃতি পেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম জামান Oct 16, 2025
img

শহীদ মিনারে হাজার হাজার শিক্ষক

‘মার্চ টু যমুনা’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা Oct 16, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় ভূগোল বিষয়ে অনুত্তীর্ণ মারুফা Oct 16, 2025
img
হাবিবুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সূচনা বক্তব্য ২৩ অক্টোবর Oct 16, 2025
img
এবারের এইচএসসির ফলাফল সবাইকে বিস্মিত করেছে: শিক্ষা উপদেষ্টা Oct 16, 2025
img
চট্টগ্রামে শতভাগ পাস করেছে ৮ কলেজের শিক্ষার্থীরা Oct 16, 2025
img
ক্রমশ এক জটিল পরিস্থিতির দিকে দেশ যাচ্ছে : জিল্লুর রহমান Oct 16, 2025
img
শিক্ষকদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরকার কাজ করছে : শিক্ষা উপদেষ্টা Oct 16, 2025
img
বাংলাদেশকে নিয়ে হোমওয়ার্ক সেরে মাঠে অস্ট্রেলিয়া নারী দল Oct 16, 2025
img
এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ Oct 16, 2025
img
কমে যাচ্ছে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা Oct 16, 2025
img
শেখ হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সিটি করপোরেশনের ৭ কর্মকর্তা Oct 16, 2025
img
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে তিন দাবি এনসিপির Oct 16, 2025
img
মক্কায় নতুন প্রকল্পে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ৯ লাখ মুসল্লি Oct 16, 2025