সাত কলেজ নিয়ে মান্না

স্বতন্ত্র ঐতিহ্য নষ্ট করা অন্যায়

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ঢাকা কলেজ একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। এর স্বতন্ত্র ঐতিহ্য নষ্ট করা অন্যায়। এজন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে।‌

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) 'সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামে বিতর্কিত অধ্যাদেশ বাতিল ও ঢাকা কলেজের স্বাতন্ত্র্য ঐতিহ্য রক্ষার দাবি'তে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। কলেজের সাবেক ছাত্রদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ক্যামব্রিজ সারা দুনিয়াতে খ্যাত, যদি ওই ইউনিভার্সিটিগুলো ভেঙে দেন, ওইখানে আরো বড় বিল্ডিং বানিয়ে অন্য কিছু করেন, তাহলে স্মৃতি শেষ হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত তাজমহল ধরে রাখা হয়েছে কেন? কারণ, ওটা একটা ইতিহাসের সাক্ষী। একসময় ঢাকা কলেজ ইতিহাসের সাক্ষী হবে। এখনো ঢাকা কলেজ ইতিহাসের সাক্ষী। এখনো পর্যন্ত যেই সব কলেজগুলোকে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপর পুরা কলেজগুলোর চেহারা যদি পাল্টে দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাস থেকে বিরাট একটা জায়গা মুছে যাবে।

মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আরও কলেজ বানান, আরও বিশ্ববিদ্যালয় বানান। আরও তো দরকার। আমাদের একটা জিনিস আছে। সেটাকে বাদ দিতে হবে কেন? সেটা রক্ষা করবার পরেও তো আমরা সামনের দিকে যেতে পারি। আমাদের এটা কোন আলোচনারই ব্যাপার নয় যে, সাত কলেজের ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। আমরা বরঞ্চ বলি ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ।

বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা ইতিহাসের কান টেনে লম্বা করে দিতে চেয়েছে। তারা বোঝাতে চেয়েছে, একটা মানুষ কেবল ইতিহাস তৈরি করেছেন। লড়াই করেছে কতগুলো লোক। তিনি নিজে বলতেন ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়েছে। সেই ৩০ লাখ লোক ইতিহাসে নাই। শুধু একটা লোকের ইতিহাসে থাকবে। এইটা কি ইতিহাস হবে? সেরকম করে শিক্ষার যদি ইতিহাস রচনা করতে চান, তাহলে যেরকম করে অন্যায়ভাবে থার্ড ক্লাস পাওয়া লোককে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়েছেন, যেরকম করে বিভিন্ন জায়গাতে জোর করে পাশের হার বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ওইটার নাম শিক্ষা নয়, ওটার নাম কুশিক্ষা।

মানববন্ধনে আরো বক্তৃতা করেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা মীর সরাফত আলী সফু, সাবেক ছাত্রনেতা মীর নেওয়াজ আলী প্রমুখ।



আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচন কীভাবে হবে রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন : প্রধান উপদেষ্টা Oct 17, 2025
img
ফের পডকাস্টে কিংবদন্তি অভিনেতা সোহেল রানা Oct 17, 2025
img
জুলাই সনদে যারা স্বাক্ষর করেনি, আশা করি তারাও ভবিষ্যতে করবেন: সালাহউদ্দিন আহমদ Oct 17, 2025
img
ভারত সীমান্তে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Oct 17, 2025
img
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর জামায়াতের প্রতিক্রিয়া Oct 17, 2025
img
মিশিগানে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সবাই Oct 17, 2025
img
দাবি না মানলে রবিবার যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের Oct 17, 2025
img
ভারতে পাঠ্যবইয়ে ইউটিউবারের নাম, শিক্ষার মান নিয়ে বিতর্ক! Oct 17, 2025
img
ফিফা থেকে সুখবর পেল হামজা-জামালরা Oct 17, 2025
img
জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ Oct 17, 2025
img
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি এনসিপি সহ বাম ধারার চারটি দল Oct 17, 2025
img
নাম পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুললেন এ আর রহমান Oct 17, 2025
img
পদ উপভোগের বিষয় নয়, এটা আমানত: রাবি উপাচার্য Oct 17, 2025
img
কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় Oct 17, 2025
img
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে জাতিসংঘের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন হানিয়া আমির Oct 17, 2025
img
আজকের দিনটি পৃথিবীর জন্য বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা Oct 17, 2025
img
আরো ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে পালমারকে Oct 17, 2025
img
‘মধ্যবিত্ত’ মানসিকতার কারণে এখনো বড় খরচের আগে দ্বিধায় থাকেন বরুণ Oct 17, 2025
img
গণঅভ্যুত্থানের ফসল জুলাই সনদ, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা Oct 17, 2025
img
বিশ্বে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ জলবায়ু বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে : জাতিসংঘ Oct 17, 2025