রমজানেও ছুটি পাবে না বাহরাইনের শিক্ষার্থীরা

রমজানের শেষ দশ দিন শিক্ষার্থীদের জন্য ছুটি ঘোষণার সংসদীয় প্রস্তাব নাকচ করেছে বাহরাইন সরকার। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, শিক্ষা আইনে নির্ধারিত ন্যূনতম ১৮০ শিক্ষাদিবস পূরণ বাধ্যতামূলক এবং পরীক্ষার সময়সূচিও আগে থেকেই স্থির করা।

সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের শিক্ষা আইন (নং ২৭) অনুযায়ী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বছরে কমপক্ষে ১৮০ দিন পাঠদান নিশ্চিত করতে হয়। তাই অতিরিক্ত ছুটি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এই প্রস্তাবটি এ বছরের মার্চ মাসে উত্থাপন করেছিলেন কিছু সংসদ সদস্য। তারা যুক্তি দিয়েছিলেন, রমজানের শেষ ভাগে, বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের সময়, শিক্ষার্থীদের কিছুটা বিরতি দিলে তারা বেশি মনোযোগ দিয়ে ইবাদত করতে পারবে এবং পড়াশোনার চাপও কমবে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রমজান মাসে পাঠসূচি আগেই এমনভাবে সামঞ্জস্য করা হয় যাতে শিক্ষাক্রম চলার পাশাপাশি মাসের আধ্যাত্মিক পরিবেশও বজায় থাকে।

প্রতি বছর একটি বিশেষায়িত কমিটি শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার, পরীক্ষার তারিখ এবং সরকারি ছুটির সময়সূচি নির্ধারণ করে যাতে পাঠ্যসূচি সম্পূর্ণ করা যায় কোনো অংশ বাদ না দিয়ে বা মান কমিয়ে নয়।

শিক্ষা কর্তৃপক্ষের মতে, রমজানের শেষ দশ দিনে ছুটি দিলে কার্যকর পাঠদিবস কমে যাবে, শিক্ষার মানে প্রভাব পড়বে এবং পাঠ্যসূচি ও পরীক্ষার সময়সূচিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর হবে, কারণ তখনই চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ সময়।

সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সেখানেও শিক্ষাক্রমের নির্ধারিত মডিউল ও আন্তর্জাতিক মান রক্ষার জন্য পাঠদিবস কমানো সম্ভব নয়।

বাহরাইন সরকার জানায়, সংসদের প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য ইতিমধ্যেই বিদ্যমান রমজান সময়সূচির মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে। তারা সংসদের সঙ্গে সমন্বয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, তবে শিক্ষা মান ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সূত্র : নিউজ অব বাহরাইন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বয়কট করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে কোয়াব Oct 19, 2025
img
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ৬ ঘণ্টা পর বিমান চলাচল শুরু Oct 18, 2025
img
আফগানদের না বলায় পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পেল জিম্বাবুয়ে Oct 18, 2025
img
আহত জুলাই যোদ্ধা আতিকুলের সার্বিক খোঁজ নিলেন নাহিদ ইসলাম Oct 18, 2025
img
আরাউহোর শেষের গোলে রোমাঞ্চকর জয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা Oct 18, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি Oct 18, 2025
img
রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে বাংলাদেশকে জেতালেন রিশাদ, ম্যাচশেষে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া Oct 18, 2025
img
মিষ্টি কম দেয়া নিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ Oct 18, 2025
img
আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের আপিল প্রত্যাখ্যান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল Oct 18, 2025
img
‘জুবিনদা আমার কণ্ঠ ছিলেন’ মন্তব্যে কটাক্ষের মুখে দেব Oct 18, 2025
img
তারকাদের ইনজুরিতে নতুনদের সুযোগ দেখছেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক Oct 18, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস Oct 18, 2025
img
জনগণের বিশ্বাস অগ্নিকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল Oct 18, 2025
img
তদন্ত শেষে বোঝা যাবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি Oct 18, 2025
সুস্থতার জন্য নবীজি যে আমল করতেন | ইসলামিক টিপস Oct 18, 2025
সালমানের চোখে ভবিষ্যতের সুপারস্টার আরিয়ান খান Oct 18, 2025
সবার সামনে রিয়া মনিকে তালাক দিলেন হিরো আলম! Oct 18, 2025
প্রস্তুত করা হচ্ছে রাকসু ভবন, রোববার বসতে পারবেন নির্বাচিতরা Oct 18, 2025
img
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি : বিজিএমইএ সভাপতি Oct 18, 2025
img
অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে বলকান অঞ্চলে ব্রিটিশ সীমান্তরক্ষী Oct 18, 2025