যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসলামাবাদ-কাবুল

তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান। বিতর্কিত সীমান্তে এক সপ্তাহ ধরে চলা ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর দেশ দুটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার (১৯ অক্টোবর) ভোরে জানিয়েছে যে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুসংহত করার জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর আগে দেশ দুটির মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল। পরবর্তীতে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে দোহায় আলোচনায় বসে দুই দেশ।

দোহা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং নির্ভরযোগ্য ও টেকসই পদ্ধতিতে এর বাস্তবায়নে আগামী দিনগুলোতে ফলোআপ বৈঠক করতেও দুই দেশ সম্মত হয়েছে।

এর আগে উভয় পক্ষই বলেছিল যে, তারা শনিবার (১৮ অক্টোবর) দোহায় শান্তি আলোচনা করছে, কারণ তারা এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছে। ২০২১ সালে কাবুলে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে দক্ষিণ এশীয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছে।

এর আগে আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুবের নেতৃত্বে কাবুলের আলোচনাকারী দল কাতারের রাজধানীতে পৌঁছেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে বলেছিল যে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পাক-আফগান সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের ওপর আলোচনায় আলোকপাত করা হবে।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনছে বিএনপি Oct 19, 2025
img
পহেলা নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা Oct 19, 2025
img
সংঘর্ষে জরালো ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা Oct 19, 2025
img
এমন দুর্বলতা রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে : জাহেদ উর রহমান Oct 19, 2025
img
জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে ইসি: নাসীরুদ্দীন Oct 19, 2025
img
নির্বাচনী দায়িত্বে পেশাদারিত্ব পালনের আহ্বান সিইসির Oct 19, 2025
img

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন Oct 19, 2025
img
এমন কোনো শক্তি নেই যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে : জয়নুল আবদিন ফারুক Oct 19, 2025
img
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না : সেলিম Oct 19, 2025
img
৫০ বছরের প্রথা ভাঙল সৌদি, ‘কফিল’-থেকে মুক্তি পাচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিকরা! Oct 19, 2025
img
৫ শতাংশ আবাসন ভাতায় উপকৃত হবেন ৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী Oct 19, 2025
img
লন্ডনে ১৬তম বইমেলায় গাইবেন সাবিনা ইয়াসমিন Oct 19, 2025
img
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম : আলী রিয়াজ Oct 19, 2025
img
নিরাপদ-দখলমুক্ত সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Oct 19, 2025
img
জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে আমার বক্তব্যের আংশিক প্রচার হয়েছে : সালাহউদ্দিন Oct 19, 2025
img
হ্যাট্রিকের পাশাপাশি গোল্ডেন বুট জিতলেন মেসি Oct 19, 2025
img
শ্রমিকদের কর্মবিরতির ডাকে অচল চট্টগ্রাম বন্দর Oct 19, 2025
img
জাতিসংঘের অর্থসংকটে দেশে ফিরছে ১ হাজার ৩১৩ শান্তিরক্ষী Oct 19, 2025
img
ইসি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে : হাসনাত আবদুল্লাহ Oct 19, 2025
img
যুদ্ধ বিরতির পর বিপদে পড়েছেন নেতানিয়াহু Oct 19, 2025