নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে ইসি সচিবালয়ে হাজির হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এনসিপির প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে হাজির হন।
সূত্র জানায়, আজই এনসিপির জন্য প্রতীক বাছাইয়ের শেষ দিন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতীক না বেছে নিলে কমিশন নিজ সিদ্ধান্তে দলটির জন্য প্রতীক নির্ধারণ করবে।
এর আগে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় তালিকাভুক্ত ৫০টি প্রতীকের মধ্য থেকে একটি বেছে নিতে এনসিপিকে চিঠি দেয় কমিশন। তবে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা কেবল ‘শাপলা’ প্রতীকেই নিবন্ধন চায় এ বিষয়ে কোনো বিকল্প ভাবনায় তারা নেই।
উল্লেখ্য, শাপলা প্রতীক চাওয়ার বিষয়ে এনসিপি অনড় অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে তারা একাধিকবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং চিঠি দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এনসিপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, প্রয়োজন হলে এই প্রতীক পেতে তারা রাজপথেও লড়বেন। একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়েও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
এদিকে শাপলা প্রতীক না পেলে এনসিপি দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। গতকাল দুপুরে ইসি সচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে সারোয়ার তুষার আরও বলেন, ‘ইসি সচিবের আচরণ স্বৈরাচারী। শাপলা প্রতীক অবশ্যই দিতে হবে কমিশনকে। প্রতীক দেওয়া নিয়ে নির্বাচনে কোনো জটিলতা তৈরি হলে তার দায় কমিশনকেই নিতে হবে। ইসির সিদ্ধান্তের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। ইসি চাইলেই শাপলা তালিকাভুক্ত করতে পারে।’
অন্যদিকে শাপলা প্রতীক না দিলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের যে কোনো কার্যক্রমে অনাস্থা জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ইসি যদি শাপলা প্রতীক না দিয়ে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে তাহলে এই কমিশনের যে কোনো কার্যক্রমে আমাদের অনাস্থা থাকবে।’
এবি/টিকে