দাবি না মানলে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা ঘোষণা

অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সরকারের ঘোষিত পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নসহ মোট পাঁচটি দাবি জানিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি। দাবিগুলো মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৫টার মধ্যে পূরণ না করা হলে ২২ অক্টোবর (বুধবার) দেশের সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট থেকে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান। বক্তব্যে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মো. আল আমিন বলেন, ১০৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এমপিওভুক্ত পর্যায়ে আছে। যা প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর হওয়ার পর এমপিওভুক্ত হবে। কিন্তু, গত ৩ মাস ধরে সেটি স্বাক্ষর না হওয়ায় শিক্ষকরা হতাশ।বাকি অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির জন্য অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এই শিক্ষক নেতা।

তাদের দাবিগুলো হলো-
১. অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সরকারের ঘোষিত পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। 
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ১০৮৯টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই করা ফাইলগুলো দ্রুত অনুমোদন করে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে। 
৩. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থাকরণ করতে হবে। 
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি করতে হবে। 
৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিদপ্তরের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করতে হবে।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই শহিদ পরিবারের সন্তানদের বিনা খরচে পড়ার সুযোগ দেবে সরকার Oct 20, 2025
img
শেখ হাসিনা বিহীন দেশ ভালো চলছে না, দেখাতেই নাশকতা ঘটতে পারে: রিজভী Oct 20, 2025
img
দুর্নীতির কারণে উন্নত দেশের পর্যায়ে যেতে পারছি না : জাকসু জিএস Oct 20, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 20, 2025
img
দেবের ২০ বছর উদযাপনে রুক্মিণীর অনুপস্থিতি জাগালো বিচ্ছেদের গুঞ্জন Oct 20, 2025
img
ট্রাম্পকে স্বপ্ন দেখা চালিয়ে যেতে বললেন খামেনি Oct 20, 2025
img
বিএনপি কোনো দরকষাকষি বা পিআর পদ্ধতিতে যেতে চায় না: মির্জা ফখরুল Oct 20, 2025
img
টেস্টেও রিশাদকে দেখছেন মুশতাক আহমেদ Oct 20, 2025
img
বিএনপি ও জামায়াত কেউই এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: সারজিস আলম Oct 20, 2025
img
কিংবদন্তি নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’ Oct 20, 2025
উইকেট যেমনই হোক, আমাদের মেনে নিতে হবে: ক্যারিবীয় ক্রিকেটার খারি পিয়েরে Oct 20, 2025
দেশ নিয়ে মেঘনা আলমের বিস্ফোরক মন্তব্য! Oct 20, 2025
বিচার, পিপিসহ পিবিআই প্রধান বনোজ কুমারের বিচারের দাবি সালমান শাহ্ মায়ে Oct 20, 2025
img
বিমানবন্দরে ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়েছে : ওষুধশিল্প সমিতি Oct 20, 2025
তালাকের পর হিরো আলমের মেসেঞ্জারে মেয়েদের ভিড় Oct 20, 2025
শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করলেন গণঅধিকার পরিষদ Oct 20, 2025
বাঁশির সুরে ৪০ বছরের জীবন! দারিদ্র্য ছিল যার নিত্যসঙ্গী! Oct 20, 2025
নোয়াখালীর ঘটনায় রাজধানীতে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল Oct 20, 2025
img
সামাজিক মাধ্যমে পরিণীতিকে শুভেচ্ছা জানালেন "দেশী গার্ল" Oct 20, 2025
img
জামায়াতের বিপক্ষে কথা বললে তাদের বট টিম হাজির হয়ে যায় : হান্নান মাসউদ Oct 20, 2025