“বাস্তুতে শেষ দীপাবলি”, আবেগঘন বার্তা আলিয়ার

‘এত বছরের স্মৃতি’, ‘বাস্তু’তে শেষ দীপাবলি উদযাপনে আবেগপ্রবণ আলিয়া ভাট। এই বাড়িতেই রণবীর-আলিয়ার বিয়ে, রাহার জন্ম! ফ্ল্যাটজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রণবীর-আলিয়ার মিষ্টি মুহূর্ত। রাহার ছোট ছোট পায়ে বাড়িময় ঘুরে বেড়ানোর স্মৃতি। আর সেই বাড়িকেই আলবিদা জানাতে গিয়েই আবেগপ্রবণ আলিয়া। রবিবার শেষবারের মতো বাস্তুতে দীপাবলি উদযাপন করলেন কাপুরদের বউমা। ভ্রাতৃবধূর এই নতুন ইনিংসের সাক্ষী থাকতে পৌঁছে গিয়েছিলেন করিশ্মা-করিনারা।

আলিয়া জানালেন, “বাস্তুতে এটাই আমাদের শেষ দীপাবলি উদযাপন। এই বাড়িতেই রাহার জন্ম। আমাদের বিয়ে। সেসব মনে করে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে একটাই সান্ত্বনা, বড় হয়ে রাহার হয়তো এই দিওয়ালি উদযাপনের কথা মনে থাকবে না। কিন্তু ওই, যে বাড়ি এত বছরের স্মৃতি বিজরিত, রাহার মধ্যেও সেই আবেগ থাকবে ভবিষ্যতে। আর দিওয়ালি মানেই তো একটা আবেগ। আলোর রোশনাইয়ে উষ্ণ উদযাপনের সময়।”

কেন বাস্তুতে শেষবার দিওয়ালি উদযাপন করলেন রণবীর-আলিয়া? আসলে সোমবার দীপাবলির পূণ্যতিথিতে তারকাদম্পতি তাঁদের নতুন বাংলো কাপুর ম্যানশনে গৃহপ্রবেশ করেবন। সেই জন্যই আপাতত তাঁদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। তবে ঠিকানা বদলানোর আগে বাস্তুর সুখস্মৃতি আরও জোরদার করার জন্য রবিবার রাতে কাপুর পরিবারের সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আলিয়া। ভ্রাতৃবধূর এহেন নতুন ইনিংস শুরুর সাক্ষী থাকতে পৌঁছে গিয়েছিলেন করিশ্মা, সইফ-করিনারাও। বাস্তুর শেষ দীপাবলি উদযাপনে দেখা যায় নবাব পরিবারের সোহা আলি খান, কুণাল খেমু ইব্রাহিম আলি খান, জেহ-তৈমুরকেও। রণবীর-আলিয়ার অনুষ্ঠানের ত্বত্ত্বাবধানে ছিলেন নীতু কাপুরও।

অভিনেত্রী জানালেন, “সাধের বাড়িতে এত বছরের স্মৃতি তৈরি করতে সময় লেগেছে ঠিকই। এবং সত্যি কথা বলতে কী, আমার দারুণ লাগছে। এটা আমাদের একসঙ্গে স্বপ্নপূরণ হওয়ার গল্প। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য নিজেকে আশীর্বাদধন্য বলে মনে হচ্ছে। এবাড়ি-ওবাড়ি করতে একটু বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আমি আনন্দে আত্মহারা। তবে বাস্তু ছাড়ার পরও এই স্মৃতি হয়তো আমাদের বছরের পর বছর ধরে তাড়া করে বেড়াবে।” তবে সোমবার কাপুর ম্যানশনের গৃহপ্রবেশ নিয়েও বেশ আবেগপ্রবণ আলিয়া।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডাকঘরের ২ কর্মচারী জাল টাকাকাণ্ডে কারাগারে Oct 20, 2025
img
বিনিয়োগ আকর্ষণে দক্ষিণ কোরিয়া গেলেন আশিক চৌধুরী Oct 20, 2025
img
জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরোয়ার Oct 20, 2025
img
গাজীপুরে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুন Oct 20, 2025
img
চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার Oct 20, 2025
img
‘জুলাইযোদ্ধা’দের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক Oct 20, 2025
img
প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে এখনই গুগল থেকে মুছুন নিজের তথ্য Oct 20, 2025
img
ঢাকায় ইইউ উপপ্রধানের সঙ্গে জামায়াতের মহিলা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ Oct 20, 2025
img
রোহিঙ্গাদের জন্য ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিলো দক্ষিণ কোরিয়া Oct 20, 2025
img
শাকিব জানত, চেষ্টা করলেও লাভ হবে না : তামান্না Oct 20, 2025
img
গুন্ডামি আর রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না: হান্নান মাসউদ Oct 20, 2025
img
সারওয়ার আলমের কড়া বার্তা Oct 20, 2025
img
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সকল ইউনিট বন্ধ Oct 20, 2025
img
ঢাকার রাস্তায় টেসলার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ইমনের Oct 20, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ ক্যাচ ছাড়ার দিনে ভালো অবস্থায় পাকিস্তান Oct 20, 2025
img
জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যা, আটক ৩ Oct 20, 2025
img
জুলাই শহিদ পরিবারের সন্তানদের বিনা খরচে পড়ার সুযোগ দেবে সরকার Oct 20, 2025
img
শেখ হাসিনা বিহীন দেশ ভালো চলছে না, দেখাতেই নাশকতা ঘটতে পারে: রিজভী Oct 20, 2025
img
দুর্নীতির কারণে উন্নত দেশের পর্যায়ে যেতে পারছি না : জাকসু জিএস Oct 20, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 20, 2025