উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এক নীরব ঘাতক রোগ। সময়মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে এটি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ নানা জটিল অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই শুধু ওষুধ নয়, জীবনযাপনে পরিবর্তন আনাও সমান জরুরি। বিশেষ করে খাবারের অভ্যাসে থাকতে হবে সচেতনতা।
খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজি, ফলমূল ও দানাশস্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কিছু পানীয় আছে, যেগুলো সকালে পান করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি উপকারী পানীয় সম্পর্কে।
লেবু পানি
হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপে উপকার মেলে। লেবুর ভিটামিন ‘সি’ শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং রক্তনালির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, ফলে নিয়মিত পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়।
বিটের রস
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত, বিট হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে কার্যকর।এতে থাকা নাইট্রেট রক্তনালিকে প্রসারিত করে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস বিটের রস খাওয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, এতে যেন লবণ না মেশানো হয়।
ডাবের পানি
ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে শরীরের সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে। এতে অতিরিক্ত সোডিয়াম না থাকায় এটি রক্তচাপ বাড়ায় না।বরং শরীরচর্চার পরে এক গ্লাস ডাবের পানি পান করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
দুধ-চিনি দেওয়া চায়ের বদলে গ্রিন টি খাওয়াই ভালো। এতে ক্যাফেইন কম কিন্তু ক্যাটেচিন বেশি, যা রক্তনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি খাওয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ওষুধ বন্ধ করবেন না, তবে খাদ্য ও জীবনধারার পরিবর্তন এনে ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব। প্রতিদিনের খাবার ও পানীয়ের দিকে নজর রাখলে রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সূত্র : এই সময়
এবি/টিকে