রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার সমাপ্তি মেনে নিতে পারছে না পশ্চিম ইউরোপ। এ কারণে তারা রাশিয়ার সাথে সংঘর্ষের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) উজবেকিস্তানের সমরকন্দ শহরে এক সম্মেলনে ভাষণকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরটির প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত শুরু পর থেকে ইইউ দেশগুলো সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ৮০০ বিলিয়ন ইউরো (৯৩৭ বিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করতে সম্মত হয়েছে।
জোটের কিছু রাজনীতিকও ক্রমবর্ধমানভাবে রাশিয়াকে ‘হুমকি’ বলে উল্লেখ করছেন। এদিকে মস্কো বারবার ন্যাটো দেশগুলোর প্রতি কোনো আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্য পোষণ করার কথা নাকচ করে আসছে। তবে আক্রমণ হলে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও সতর্ক করেছে।
সমরকন্দের সম্মেলনে নারিশকিন বলেন, বহুমুখি বিশ্বব্যবস্থায় রূপান্তর নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সবকিছু করতে হবে। তবে সেটা করতে হবে আগের যুগের মতো বড় যুদ্ধ ছাড়াই।’ তিনি আরও বলেন, পশ্চিম ইউরোপ নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, অথবা শীর্ষ ইইউ কূটনীতিক কাজা ক্যালাসের মতো নেতারা যে একমাত্র সমাধান বের করতে সক্ষম হয়েছেন, তা হলো ‘রুশভীতি তৈরি করা এবং রাশিয়ার সাথে বৃহৎ আকারের সশস্ত্র সংঘাতের ওপর জোর দিয়ে ইউরোপীয় সামরিক প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করা।’
রুশ গোয়েন্দা প্রধানের মতে, ‘মস্কো ইইউ ও যুক্তরাজ্যের বর্তমান পদক্ষেপকে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে। তারা ইউরোপে ন্যাটো বাহিনীকে পুনরায় সজ্জিত করা, সামরিক উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা এবং রাশিয়াবিরোধী প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মগজ ধোলাইয়ের কাজ করছে।’
‘তবে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো তাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উপযুক্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে উপযুক্ত পর্যাপ্ত মানুষ খুঁজে পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। ক্ষমতাশালী অভিজাতদের প্রতি মানুষের মধ্যে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক উদাসীনতা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে,’ বলেন নারিশকিন।
ইউটি/টিএ