বিশ্ববাজারে মঙ্গলবার সোনার দাম ৩ শতাংশের বেশি কমেছে। ডলারের শক্তিশালী হওয়া এবং বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়া এর কারণ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমার প্রত্যাশা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের চাহিদার কারণে আগের সেশনে মূল্যবান এই ধাতুটি নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
নিউ ইয়র্ক সময় সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ৩.৫ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ২০৩.৮৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২০ সালের নভেম্বরের পর এর সবচেয়ে বড় পতন।
ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম ৩.৩ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ২১৭.৮০ ডলারে নেমে আসে।
সোনার দাম সোমবার চার হাজার ৩৮১.২১ ডলারে সর্বকালীন শিখরে পৌঁছেছিল এবং ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমানোর বাজি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারাবাহিক ক্রয়ের কারণে এ বছর এর দাম ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছিল।
স্বাধীন ধাতব ব্যবসায়ী তাই ওং বলেছেন, ‘গতকালও সোনার দাম কমা মাত্রই ক্রেতারা তা কিনে নিচ্ছিলেন, কিন্তু গত সপ্তাহে দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকাকালীন অস্থিরতার তীব্র উল্লম্ফন দেখা যাওয়ায় সতর্কতা তৈরি হয়েছে এবং এটি অন্তত স্বল্পমেয়াদী মুনাফা তুলে নিতে উৎসাহিত করতে পারে।’
ডলার সূচক ০.৪ শতাংশ বেড়েছে, যার ফলে অন্যান্য মুদ্রা ধারকদের জন্য সোনার দাম আরো বেশি ব্যয়বহুল হয়েছে।
কর্পোরেট সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বেশিরভাগ ইতিবাচক আয়ের ঢল মূল্যায়ন করার কারণে ওয়াল স্ট্রিট শান্তভাবে শুরু করার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং ফিউচার্সগুলি আগের ক্ষতি কমিয়েছে।
কিটকো মেটালসের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জিম উইকফ একটি নোটে বলেন, ‘এই সপ্তাহের শুরুতে সাধারণ বাজারে ঝুঁকির প্রতি ভালো আগ্রহ দেখা যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় ধাতুগুলির জন্য এটি নেতিবাচক।’
বর্তমানে ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিলম্বিত হওয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচকের তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন, যা শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার কথা। সেপ্টেম্বরের তথ্যে বার্ষিক ভিত্তিতে ৩.১ শতাংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাজার আশা করছে, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহে তাদের বৈঠকে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে।
সোনার মতো অউৎপাদনশীল সম্পদ সাধারণত কম সুদের হারের পরিবেশে লাভবান হয়।
এ ছাড়া বিনিয়োগকারীরা আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের মধ্যে হতে যাওয়া বৈঠকের দিকেও নজর রাখছেন।
এদিকে স্পট রূপার দাম ৫.২ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৯.৬৮ ডলারে নেমে এসেছে।
ওং বলেন, ‘রুপা আজ খুব খারাপভাবে হোঁচট খাচ্ছে এবং পুরো ধাতব বাজারকে টেনে নামিয়েছে।
আরপি/এসএন