ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের এ মামলায় ২৯৫-এর ক ধারা সংযোজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ মামলাটিতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৯৫-এর ক ধারা যুক্ত করার আবেদন করেন। এছাড়া শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে আটক রাখার আবেদনও করেন তিনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলেও শুনানি করেননি। পরে আদালত ধারাটি যুক্ত করেন। এরপর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, শ্রীশান্ত বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘রেডিট’-এ ছদ্ম নাম ‘উইকলি সার্ভিস ৯২৩’ (ইংরেজিতে) আইডি ব্যবহার করে মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে চলতি বছরের ৮ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন লেখালিখে করে। সেখানে তার মন্তব্যসহ আরও অনেক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ, ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করেন। এ আসামি ছদ্ম নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর পোস্ট করে আসছে। দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ছদ্মনামে ব্যবহৃত আইডির প্রকৃত পরিচয়ধারী ব্যক্তি আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করা হয়। আসামির মুসলিম নারীসংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্মীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।