শিশুশিল্পী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। একপর্যায়ে অভিষেক হয় বড়পর্দায়।
চিত্রনায়িকা হিসেবে যাত্রা করলেও সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বিপরীতে নানা সমালোচনা ও ট্রলের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
এ অবস্থায় চেষ্টা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। সম্প্রতি ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। ‘জংলি’ সিনেমায় অভিনয়ের পর দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। এরপর যুক্ত হয়েছেন ‘বরবাদ’ সিনেমার পরিচালকের নতুন সিনেমায়। ‘বিদায়’ নামের একটি সিনেমাতে জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজের সঙ্গে কাজ করছেন দীঘি।
এ অভিনেত্রী ঘুরে দাঁড়ালেও ভুলে যাননি অতীতের সেই কঠিন সময়ের কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
দীঘি বলেন, অসুস্থতার জন্য আমার ওজন বেড়ে গিয়েছিল। ওই সময় আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য হতো, ব্যঙ্গ করা হতো। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আসলে আমি যেসব ওষুধ খেতাম, তাতে আমার শরীর ফুলে যেত। তবে পরে অনেক পরিশ্রম, ডায়েট ও ধৈর্যের মাধ্যমে নিজেকে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।
এ সময় বডি শেমিং নিয়েও কথা বলেন দীঘি। তিনি জানান, প্রতিটি সিনেমাতেই তার কাছে চরিত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাজ করলে সমালোচনা হবে, যা বাস্তবতা। তবে এখন সেসব নিয়ে একদমই ভাবেন না।
ঢাকাই সিনেমার এই অভিনয়শিল্পী বলেন, আগে এসব খুব কষ্ট দিতো। এখন বুঝি, অনেকে অন্যকে ছোট করার জন্য নিজেকে বড় ভাবতে পছন্দ করেন। আমার ভুল ধরার একমাত্র মানুষ হচ্ছেন আমার বাবা। আর আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক তিনি।
আরপি/এসএন