সবশেষ সমন্বয়ে দেশের বাজারে কমানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সবশেষ সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতু বিক্রি হচ্ছে। সবশেষ সমন্বয়কৃত দাম অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে রুপাও।
সবশেষ গত ২২ অক্টোবর রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সেদিন ভরিতে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমিয়েছে সংগঠনটি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বেচাকেনা হচ্ছে ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকায়।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৯ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা এতদিন ছিল দেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২০ অক্টোবর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার, আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দামের সঙ্গে কমানো হয়েছে রুপার দামও। ভরিতে ৭৩৫ টাকা কমিয়ে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৭০ টাকা। নতুন এই দামেই দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে রুপা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ২১৪ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা ৩ হাজার ৩৫৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
কেএন/এসএন