ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দাবি ইন্তিফাদা বাংলাদেশের

ইসকনসহ যেকোনো সংস্থার ভূমিকা বা অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ যদি অপরাধ বা সহায়তায় প্রমাণিত হয়, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও জড়িত থাকলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাসহ ৬ দাবি জানিয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।

আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্য ৫ দাবি


• গাজীপুর ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভিকটিমের প্রতি দোষারোপ বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের আচরণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখে এনে দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

• টঙ্গী এলাকার অপহরণ-হত্যা ও এ বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলকভাবে দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে
• রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে “কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ” ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণ রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে
• মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও রক্ষা ব্যবস্থাসহ আইনি গঠন করতে হবে
• ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে অগ্রণী যে ইমাম, সক্রিয় নাগরিক ও সংগঠনগুলো লড়াই করছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

ইন্তিফাদা বাংলাদেশের সদস্য আহমেদ রফিক বলেন, মুসলিম নারীকে ধর্ষণের কথা গর্ব করে প্রকাশ করা হয়। খতিব ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে অপহরণ করে শিকলে বেঁধে মেরে ফেলে রাখা হয়। এরকম ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। কিন্তু বিপরীতে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? আমরা বিপরীতে দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্র চুপ করে তামাশা দেখছে। প্রশাসন অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আয়োজন করছে। সুশীল সমাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ দায় নিতে চায় না। আর রাজনীতিবিদরা কোথায় আছেন? রাজনীতিবিদরা আছেন নিজের ইমেজ নিয়ে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমারা কী বলবে, আমেরিকা কী বলবে, বামপন্থী কী বলবে, দূতাবাস থেকে কী নির্দেশনা আসবে? তারা এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে করতে আল্লাহ কী বলবেন, আল্লাহ কিভাবে পাকড়াও করবেন, এটা নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের নেই।

তিনি বলেন, কেউ কেউ আবার ইসলামী রাজনীতির কথা বলেন। কিন্তু যখন কোরআন অবমাননা হয় যখন রসূলের অবমাননা হয় যখন মুসলিম নারীদের ইজ্জতকে ধর্ষণের নিশানা বানানো হয় তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। শেষে এসে দায়সাড়া কিছু একটা বলে তারা গা বাঁচানোর চেষ্টা করে।

বারবার এরা আমাদের সম্প্রীতির কথা বলে, আমাদেরকে মন্দির পাহারা দিতে বলে। কিন্তু মুসলিম নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনের সময় এদের মুখে কবরের নীরবতা। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই এদের এই নীরবতা অবশ্যই অপরাধের অংশ এবং এই নীরবতার কারণ হলো এই সমাজ ও রাষ্ট্রে কাঠামোত ইসলামবিদ্বেষ।

ইন্তিফাদা বাংলাদেশের এই সদস্য বলেন, হযরত শাহজালাল, শাহপরাণ, শাহমাকদুমদের স্মৃতি বিজড়িত এই মুসলিম বাংলার মাটি থেকে বলছি আমরা আর এগুলো মানবো না। চুপ থাকবো না।

সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যায়। 

টিজে/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই : সুপ্রদীপ চাকমা Oct 24, 2025
img

জোটের প্রার্থী নিজ দলের প্রতীকে ভোট করা প্রসঙ্গে

আরপিও অধ্যাদেশের খসড়া পরিবর্তনে চিঠি দেবে বিএনপি : সালাহউদ্দিন Oct 24, 2025
img
ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়ী হবে : হুমায়ুন কবির Oct 24, 2025
img
ফটোগ্রাফারের আবদার শুনে চটে গেলেন অভিনেত্রী সোনম বাজওয়া Oct 24, 2025
img
বায়ুদূষণ রোধে দিল্লি সরকারের অভিনব উদ্যোগ Oct 24, 2025
img
মুসলিমদের নিরাপত্তায় বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ দেবে যুক্তরাজ্য Oct 24, 2025
img
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি Oct 24, 2025
img
জ্বর নিয়েই মাঠে লড়লেন সাইফ, প্রশংসায় ভাসালেন সৌম্য Oct 24, 2025
img
জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের ভেন্যু ভারত, নাম প্রত্যাহার করে নিল পাকিস্তান Oct 24, 2025
যারা ইসলাম কিছু মানে কিছু মানে না | ইসলামিক জ্ঞান Oct 24, 2025
গণভোট নিয়ে জামায়াত নেতা এ.টি.এম মাসুমের মন্তব্য Oct 24, 2025
img
পোষা দল হবে না এনসিপি: সারজিস Oct 24, 2025
img
টেস্টেও অধিনায়ক হতে আগ্রহী মিরাজ Oct 24, 2025
img
‘আমার অর্ধেক জীবন সুন্দর করেছো পরী, আই লাভ ইউ’ Oct 24, 2025
img
লিবিয়া থেকে ফিরল ৩০৯ বাংলাদেশি Oct 24, 2025
img
দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে : জাহিদ হোসেন Oct 24, 2025
img
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Oct 24, 2025
img
বতসোয়ানায় ৩৭.৪ ক্যারেট ওজনের বিরল অর্ধ-গোলাপী হীরা আবিষ্কৃত Oct 24, 2025
img
একটি ইসলামী দল অপপ্রচারে নেমেছে : এ্যানি Oct 24, 2025
img
অভ্যুত্থানের আগে আ. লীগের সঙ্গে জড়িতরা এনসিপিতে আসতে পারবে না : সারজিস Oct 24, 2025