আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অস্ত্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল)। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ১৫তম আসর চলবে ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আসন্ন বিগ ব্যাশ লিগে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের খেলার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এর আগে বোর্ড বিদেশি লিগে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
জানা গেছে, পাকিস্তানের সাত তারকা খেলোয়াড়কে বিবিএলের ১৫তম আসরে খেলার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দিয়েছে মহসিন নাকভির বোর্ড। এই তালিকায় রয়েছে বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফ, শাদাব খান, হাসান আলি এবং হাসান খান। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও খেলোয়াড়দেরও এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তানের সব ক্রিকেটারের সব আন্তর্জাতিক লিগে এনওসি স্থগিত করার পাশাপাশি নীতি পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছিল পিসিবি। তবে পর্যালোচনার পরে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যারা ইতিমধ্যেই কন্ট্রাক্ট ও অনুমোদন পেয়েছেন, তারা বিবিএল ১৫-এ খেলতে পারবেন।
এদিকে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর মাঠে গড়ানোর কথা। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ড্রাফট এখনও চূড়ান্ত না হলেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ বরাবরই এই টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু পিসিবি বিদেশি লিগে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তদের দেশের ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে বাবর, রিজওয়ানরা বিগ ব্যাশে খেলার অনুমতি পাওয়ায় বিপিএলেও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিপিএলে আনতে পারেন কি না। এজন্য অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সমর্থকদের।
এবি/টিকে