পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল তার, ভেঙেছেন অসংখ্য রেকর্ডও। যদিও হেড দিয়ে করা গোলসংখ্যায় অনেক পিছিয়ে লিওনেল মেসি। অথচ তার পছন্দের গোলের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বার্সেলোনার হয়ে করা একটি হেডের কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেই পছন্দের কাজটাই আরেকবার করলেন ইন্টার মায়ামির জার্সিতে। মেসির উড়ন্ত হেডসহ জোড়া গোলেই আজ (শনিবার) ন্যাশভিলে এসসিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মায়ামি।
মাত্র একদিন আগে মায়ামির সঙ্গে নতুন করে তিন বছরের চুক্তি করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এর আগেই এমএলএসের নিয়মিত মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৯ গোল করে যে তিনি গোল্ডেন বুট পাচ্ছেন তা নিশ্চিত হয়ে যায়। আজ এমএলএস প্লে-অফ ম্যাচের আগে লিগের কমিশনার ডন গারবার পুরস্কারটি মেসির হাতে তুলে দেন। এরপর ম্যাচে তার উড়ন্ত গোল দিয়ে শুরু, শেষ পর্যন্ত এই আলবিসেলেস্তে ফরোয়ার্ড করলেন জোড়া গোল।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে মায়ামি এগিয়ে ছিল ২-০ ব্যবধানে। কিছুটা নাটকীয়তা হয়েছে যোগ করা সময়ে, ৯৬ মিনিটে মেসি ব্যবধান বাড়ানোর ৬ মিনিট পর এক গোল শোধ করে ন্যাশভিলে। ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ৫৩ শতাংশ বল দখলে রেখে ১২টি শট নেয় মায়ামি, এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৬টি। বিপরীতে ৬ শটের মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ন্যাশভিলে।
সপ্তাহখানেকের মাঝে ন্যাশভিলেকে দু’বার হারাল মায়ামি। এর আগে লিগপর্বের শেষ ম্যাচে ফ্লোরিডার ক্লাবটি মেসির হ্যাটট্রিকে ৫-২ গোলে জিতেছিল। আজ আবারও জয়ের মাধ্যমে প্লে-অফে ‘বেস্ট অব থ্রি’র প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে গেল হাভিয়ের মাশ্চেরানোর মায়ামি। ১৯ মিনিটেই তাদের প্রথম লিড এনে দেন মেসি। লুইস সুয়ারেজের ক্রস বক্সের মাঝামাঝিতে দাঁড়ানো এই তারকা ডানদিকে শরীরটা হালকা শূন্যে ভাসিয়ে হেড দিয়েছেন। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই ম্যাচ বিরতিতে গড়ায়।
৬২ মিনিটে তাদেও আলেন্দের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মায়ামি। ইয়ান ফ্রে’র বাড়ানো ক্রসে গোলটিও আসে হেড থেকে। এই ২-০ ব্যবধান নিয়েই ম্যাচ শেষের পথে ছিল। খেলা গড়ায় ইনজুরি সময়ে, যা শেষ হতে ১২ মিনিট পেরিয়েছে। যোগ করা সময়ের ৬ষ্ঠ মিনিটে সম্ভবত ক্যারিয়ারের অন্যতম সহজ গোলটি করেছেন মেসি। মায়ামি ফুটবলারের বাড়ানো বল হাতে আটকে রাখতে পারেননি ন্যাশভিলে গোলরক্ষক, ফসকে যাওয়া বলটি আলতোভাবে ফাঁকা জালে জড়ান তিনি। এরপর হানি মুখতারের গোলে ব্যবধান কমায় সফরকারীরা।
এসএস/টিএ