৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরলেন আফগান নারীরা

২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই আফগানিস্তানে নারীদের খেলাধুলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই সময় বহু নারী ফুটবলার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, জীবন ও স্বাধীনতার ঝুঁকি এড়িয়ে বিদেশে আশ্রয় নেন।

তালেবান শাসনামলের আগে আফগানিস্তানে ২৫ জন নারী ফুটবলার ফেডারেশনের চুক্তিভুক্ত ছিলেন, যাদের অধিকাংশ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

চলতি বছরের মে মাসে ফিফা ‘আফগান উইমেন ইউনাইটেড’ নামে একটি শরণার্থী নারী দল গঠনের অনুমোদন দেয় এবং স্কটিশ কোচ পলিন হ্যামিলকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ করে।

সেই দলের ব্যানারে অবশেষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাঠে নামার সুযোগ পেলো আফগান নারীরা।

মরক্কোতে অনুষ্ঠিত ফিফা আয়োজিত নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে আফগান নারী শরণার্থী দল রোববার চাদের কাছে ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। তবে খেলোয়াড়দের জন্য জয়-পরাজয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছিল মাঠে ফিরতে পারার আনন্দ।



২০২১ সালে কাতারের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে হারের পর এটাই ছিল আফগান নারী দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ, প্রায় চার বছর পর। দলের অধিনায়ক ফাতিমা হায়দারি ম্যাচের আগে বলেন, ‘এটাই আমরা এত বছর ধরে চেয়েছি-আমাদের প্রাপ্য অধিকার, খেলতে পারার অধিকার, নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার। আমরা ফিফার কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এই সুযোগটি দিয়েছে।’

রোববারের খেলায় মেলবোর্নভিত্তিক স্ট্রাইকার মানোজ নূরি পেনাল্টি থেকে গোল করে আফগান উইমেন ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন, যা মাঠ ও বেঞ্চে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে। তবে চাদ দ্রুত ম্যাচে ফিরে আসে এবং শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে জেতে।

আফগান উইমেন ইউনাইটেডের পরবর্তী ম্যাচ বুধবার তিউনিসিয়ার বিপক্ষে এবং শনিবার তাদের শেষ ম্যাচ লিবিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথমে এই টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার কথা ছিল। তবে আফগান দলকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা মরক্কোতে স্থানান্তর করা হয়।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শুভশ্রীকে নিয়ে ১৪ বছরেও কিছু বলিনি, এটাই সম্মান : দেব Oct 28, 2025
img
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ দাশ গ্রেপ্তার Oct 28, 2025
img
আমরা ইরানের সঙ্গে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি : রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 28, 2025
img
সালাহউদ্দিন স্যার আমার ব্যাটিংয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস রাখে : তানজিম সাকিব Oct 28, 2025
img
বিএনপি নেতা টুকুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি Oct 28, 2025
img
বিএনপি নেতা দিদারুল আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার Oct 28, 2025
img
সাজাপ্রাপ্তরা দেশে না থেকেও মুক্তি পাচ্ছে : ফয়জুল করিম Oct 27, 2025
img
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
ড. ইউনূসের সংস্কার ও জুলাই সনদ কেবলই ভাঁওতাবাজি : জিল্লুর রহমান Oct 27, 2025
img
শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র Oct 27, 2025
img
মৌনী রায়ের রেস্তোরাঁর নাম ‘বদমাশ’, এক গোলাপজামের দাম ৪১০ টাকা! Oct 27, 2025
img
সরকারি অফিসে ঝুড়ি কেনার ধাপের বর্ণনা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 27, 2025
img
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা, দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা Oct 27, 2025
img
দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা : খাদ্য উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
শামীমের পারফরম্যান্সে হতাশ লিটন দাস Oct 27, 2025
img
আ.লীগ দোসর আখ্যা দিয়ে জামায়াত নেতার মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন নেতাকর্মীরা Oct 27, 2025
img
গুজব নয়, বাস্তব সত্য দেখার আহ্বান রঞ্জিত মল্লিকের Oct 27, 2025
img
এবার জনগণই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে: সালাহউদ্দিন আহমদ Oct 27, 2025
img
ঐকমত্য কমিশনের সব ডকুমেন্ট উন্মুক্ত থাকা দরকার : প্রধান উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
মেয়াদ শেষ হলেও প্রয়োজনে সরকারকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব : আলী রীয়াজ Oct 27, 2025