ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন জাপানের জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তাকাইচি প্রয়াত জাপানি নেতা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে টোকিওতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন তাকাইচি। বৈঠকে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় দুই নেতার মধ্যে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাকাইচি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। আপনি (ট্রাম্প) আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জানান, তাকাইচি শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করবেন।

এদিকে, বাণিজ্য ও খনিজ সম্পদের বিষয়ে একাধিক চুক্তি সইয়ের পর সানায়ে তাকাইচিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ট্রাম্প। জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ‘অসাধারণ নেতা’ বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সূত্রগুলোর বরাতে জানা যায়, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৫৫০ বিলিয়ন বা ৫৫ হাজার কোটি ডলারের একটি বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় জাহাজ নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে মার্কিন বিনিয়োগের সুযোগ দেবেন। এর পাশাপাশি জাপান মার্কিন সয়াবিন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পিকআপ ট্রাক আমদানি বাড়াবে।

ট্রাম্পের দাবি জাপান যেন চীনের বাড়তি আগ্রাসনের জবাবে দ্বীপগুলোর প্রতিরক্ষায় আরও ব্যয় বাড়ায়। তাকাইচি এরই মধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করবেন।

আকাসাকা প্যালেসে বৈঠকের আগে করমর্দনের সময় ট্রাম্প বলেন, খুবই শক্তিশালী হাত মেলানো! শিনজো এবং অন্যদের কাছ থেকে শুনেছি- আপনি নিশ্চয়ই জাপানের অন্যতম সেরা প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনাকে অভিনন্দন জানাই, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্যিই বড় বিষয়।

বৈঠক শেষে তাকাইচি ট্রাম্পকে উপহার দেন প্রয়াত আবে-র ব্যবহৃত পাটার, জাপানি গলফার হিদেকি মাতসুয়ামা-র সই করা একটি গলফ ব্যাগ এবং সোনার পাত দেওয়া একটি গলফ বল।

টিজে/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সংস্কার বিরোধী শক্তির সঙ্গে জোট নয়: নাহিদ ইসলাম Oct 28, 2025
img
তৃতীয় ব্যক্তিকে মন দেওয়া প্রতারণা, মন্তব্য কাজল-টুইঙ্কলের Oct 28, 2025
img
জুলাই আন্দোলন দমনে কোনো অন্যায়ের আশ্রয় নেয়নি আওয়ামী লীগ: আইনজীবী মনসুরুল হক Oct 28, 2025
img
এবার পপির সঙ্গে রাজু আলীম Oct 28, 2025
img
প্রিসিলা এবার কাজী মারুফের নতুন ছবিতে Oct 28, 2025
img
দিল্লি বিমানবন্দরে বাসে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান Oct 28, 2025
img
না ফেরার দেশে তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ ত্বকী Oct 28, 2025
img
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে চতুর্থ স্থান নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল বাংলাদেশ Oct 28, 2025
img
৩ সাংবাদিককে হেনস্তা আইনজীবীর, কারাগারে পাঠাতে চাইলেন বিচারক Oct 28, 2025
img
সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ৩০০% বৃদ্ধির প্রস্তাব Oct 28, 2025
img
আইসিইউ থেকে বের হলেন আইয়ার, এখন কেমন আছেন Oct 28, 2025
img
বাংলাদেশে আসা প্রসঙ্গে আহাদের ভিডিওবার্তা Oct 28, 2025
img
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত ভারত, স্কুল বন্ধ ঘোষণা Oct 28, 2025
img
হাইকোর্টে সামিরার বর্তমান স্বামী Oct 28, 2025
img
নির্বাচন ভবনের আশপাশে ব্যবসা কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে Oct 28, 2025
img
মিস ইউনিভার্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে থাইল্যান্ডে মিথিলা Oct 28, 2025
img
সংশোধিত শ্রম আইনের ৩টি ধারা পুনর্বিবেচনার দাবি বিজিএমইএ সভাপতির Oct 28, 2025
img
ভালুকের থেকে বাঁচতে সেনাবাহিনী পাঠানোর অনুরোধ Oct 28, 2025
img
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এনসিপি নেতার পদত্যাগ Oct 28, 2025
img
নারীবিদ্বেষী মন্তব্যে তুমুল বিতর্কে অভিনেতা সালমান Oct 28, 2025