ভারতের আসামের শ্রীভূমি জেলায় সোমবার কংগ্রেস সেবা দলের এক বৈঠকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন এমন দাবিতে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শ্রীভূমি জেলার ভাঙার বাসিন্দা এবং সেবা দলের জেলা ইউনিটের সাবেক চেয়ারপার্সন দাস, স্থানীয় কংগ্রেস কার্যালয় ইন্দিরা ভবনে করিমগঞ্জ (শ্রীভূমি) জেলা সেবা দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গানটি গেয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন।
এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আসামের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল মঙ্গলবার জানান, তিনি কংগ্রেসের এক নেতাকে দলের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার খবর পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস সবকিছুই করতে পারে। ওই দলে সবকিছুই অদ্ভুত-তারা কখন কী গান করতে হয়, সেটাও জানে না। আমি ভিডিওটি দেখব এবং পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, তবে কংগ্রেস নেতারা এই বিতর্ককে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। করিমগঞ্জ (শ্রীভূমি) জেলা কংগ্রেস কমিটির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারপার্সন শাহাদাত আহমেদ চৌধুরী স্বপন বলেন, এই প্রবীণ নেতা কেবল একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন-বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নয়।
চৌধুরী বলেন, ‘আমার সোনার বাংলা গানটি মূলত নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি রচনা হিসেবে পরিচিত। দাস তার বক্তব্য শুরু করার সময় বলেছিলেন, তিনি একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত দিয়ে শুরু করবেন। তিনি একজন শ্রদ্ধেয় নেতা যিনি প্রতি স্বাধীনতা দিবসে ইন্দিরা ভবনে ভারতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে এই গান গেয়েছেন এমন প্রশ্নই ওঠে না।’
এবি/টিকে