১৪ মাসে সরকার তার ফিটনেস তৈরি করতে পারে নাই: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ১৪ মাসেও সরকার নিজের ‘ফিটনেস’ তৈরি করতে পারেনি। হাতে সময় আছে মাত্র ৪ মাস, এই সময়ের মধ্যে দুইটি নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা সরকারের নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে রাশেদ খান লিখেছেন, জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোট—হ্যাঁ। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট—না।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যখন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়, তখন বিশেষজ্ঞরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে মতামত দেন। সে সময় জামায়াত ছাড়া সব দলই একমত হয়েছিল। এমনকি এনসিপিও প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু পরদিনই এনসিপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।

রাশেদ খান আরও উল্লেখ করেন, এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া আছে—এটি গোপন রাখতে চায় এনসিপি। এই সম্পর্ক আড়াল করতেই এনসিপি মাঝে মাঝে জামায়াতবিরোধী অবস্থান নেয়। এটি রাজনৈতিক কৌশলমাত্র।

তার দাবি, জামায়াত যা করতে পারে না, তা এনসিপিকে দিয়ে করায়। এনসিপির ভেতরে জামায়াত-শিবিরের প্রভাবশালী নিয়োগ রয়েছে, যারা সংগঠনের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছিলেন—‘নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদি প্রক্সি দলের দরকার নেই।’ তখনই বোঝা গিয়েছিল, এনসিপি বুঝে না বুঝে সেই পথেই হাঁটছে। এতে তাদের নিজস্ব রাজনীতি তৈরি হচ্ছে না।

সরকারের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ১৪ মাসেও সরকার নিজের ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি। নভেম্বর গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এতে কেবল আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। তাহলে ৯ মাস রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে লাভ কী হলো? আগে থেকেই ৮৪টি বিষয়ে গণভোট নেওয়া যেত।

রাশেদ খান সতর্ক করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি বাদে সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করা হচ্ছে।


আইকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা

বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় Oct 30, 2025
img
সন্তানকে মত প্রকাশের সুযোগ দিন : হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 30, 2025
img
মোজাম্মেল হকের আয়কর নথি জব্দের অনুমতি পেয়েছে দুদক। Oct 30, 2025
img
ডাকসু নেতাদের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 30, 2025
img
ঐক্য কমিশনের প্রতিবেদনে অনৈক্যের সুর : শামা ওবায়েদ Oct 30, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম Oct 30, 2025
img
কাবুলের সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত Oct 30, 2025
img
ফুটবলার নিবন্ধনে ফিফার নিষেধাজ্ঞা পেল মোহামেডান Oct 30, 2025
img
যারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না, তারা জনগণের বিরোধী শক্তি : এম এ মালিক Oct 30, 2025
img

নারী বিশ্বকাপ ২০২৫

ভারতের সাবেক ও বর্তমান অধিনায়কের রেকর্ড ভাঙলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার Oct 30, 2025
img
চসিক সিইও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, ১৫ দিনের আলটিমেটাম Oct 30, 2025
img
যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়, তারা গণভোট চায় না : মাসুদ Oct 30, 2025
img
সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে হবে : এ্যানি Oct 30, 2025
img
ঐকমত্যে ব‍্যর্থ হলে ভয়ানক পরিস্থিতির ঝুঁকি দেখছে এবি পার্টি Oct 30, 2025
img
সচিবালয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার Oct 30, 2025
img
আজ রাতেই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করুন : আব্দুল্লাহ তাহের Oct 30, 2025
img
অক্টোবরের ২৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ২৪৩ কোটি ডলার Oct 30, 2025
img
ফুল দিয়ে ছবি তোলার জন্য সৌজন্য সাক্ষাৎ আমরা করি না: লুৎফে সিদ্দিকী Oct 30, 2025
img
ওজন কমিয়ে নিশোর ট্রান্সফরমেশন, চঞ্চলের চ্যালেঞ্জ! Oct 30, 2025
img
উপকূলীয় নারীরা নানা জটিলতার মুখোমুখি: রিজওয়ানা Oct 30, 2025