দুবাইয়ে নির্মাণ হচ্ছে পানির উপর ভাসমান জাদুঘর

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক হিজ হাইনেস শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সম্প্রতি দুবাই মিউজিয়াম অব আর্ট প্রকল্পের নকশা উদ্বোধন করেছেন।

আল ফুতাইম গ্রুপের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই দূরদর্শী প্রকল্পটি দুবাইয়ের নতুন স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন হতে চলেছে। বিশেষভাবে নকশা করা এই জাদুঘরটি দুবাই ক্রিকের পানির ওপর ভাসমান অবস্থায় নির্মিত হবে।

এই অনন্য স্থাপত্যের নকশা করেছেন বিশ্ববিখ্যাত জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দো। জাদুঘরটি নির্মাণের অনুপ্রেরণা এসেছে সমুদ্র এবং মুক্তা থেকে, যা দুবাইয়ের ঐতিহ্য ও চেতনার প্রতীক। জাদুঘরের বাঁকা খোলসটি ঘিরে থাকবে একটি বৃত্তাকার প্রদর্শনী হল। এর মাঝখানে একটি নলাকার খোলা জায়গা থাকবে, যেখান দিয়ে মুক্তার কোমল ঝিলিকের মতো প্রাকৃতিক আলো সরাসরি নিচে নেমে আসবে।

পাঁচতলা এই ভাসমান জাদুঘরে থাকবে গ্রাউন্ড এবং বেজমেন্ট ফ্লোরও। এর প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় থাকবে বিভিন্ন প্রদর্শনী গ্যালারি, আর তৃতীয় তলায় থাকবে রেস্তোরাঁ ও ভিআইপি লাউঞ্জ। পুরো স্থাপত্য এমনভাবে তৈরি হবে, যা দর্শনার্থীদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে। শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর পাশাপাশি এই জাদুঘরে সারা বছর ধরে শিল্পী সংলাপ, প্যানেল আলোচনা, শিক্ষা কার্যক্রম ও আর্ট ফেয়ারের মতো সাংস্কৃতিক কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। এই কর্মসূচি শেখার, মতবিনিময়ের ও নতুন সৃজনশীল উদ্ভাবনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

নকশা পর্যালোচনা করে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ বলেন, শিল্প ও সংস্কৃতি একটি শহরের প্রাণ, এবং এর মাধ্যমেই অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়। তিনি বিশ্বাস করেন, দুবাই মিউজিয়াম অব আর্ট হবে শহরের জন্য নতুন আলোকবর্তিকা, যা দুবাইয়ের শিল্পচর্চাকে আরও প্রাণবন্ত করে বৈশ্বিক সংস্কৃতির মানচিত্রে এর অবস্থান দৃঢ় করবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দুবাই এখন বিশ্বের নানা প্রান্তের সৃষ্টিশীল মানুষদের মিলনস্থল এবং এই নতুন সাংস্কৃতিক নিদর্শন দুবাইকে সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার কৌশলগত লক্ষ্যকে এগিয়ে নেবে। দুবাইয়ের শাসক এই সাহসী ধারণাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আল ফুতাইম গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান, যা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে বিশ্বমানের নিদর্শন সৃষ্টি করতে পারে।

তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ

আরপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চেয়েছি শাপলা, দিয়েছে কলি, এটা এনসিপির সঙ্গে প্রতারণা : সামান্তা শারমিন Oct 30, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রস্তাব বিদ্যমান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক : বাসদ Oct 30, 2025
img
জন্মদিনের ৫ দিন পর নিজেকে শুভেচ্ছা জানালেন পরীমণি Oct 30, 2025
img
ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : অপু Oct 30, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন Oct 30, 2025
img
শাপলা কলি যুক্ত হয়েছে, প্রয়োজনে আবারও সংশোধন করা হবে: ইসি সচিব Oct 30, 2025
img
রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের সরাসরি পরীক্ষা চালায়নি : ক্রেমলিন Oct 30, 2025
img
গণজাগরণ মঞ্চের নেতা আবুল কালাম আজাদ আটক Oct 30, 2025
img
ভারত-আফ্রিকা ম্যাচে বদলে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের শতবর্ষী রীতি Oct 30, 2025
img
সংসদ নির্বাচন ছাড়া এই মুহূর্তে জাতির আর কোনো এজেন্ডা নেই: আযম খান Oct 30, 2025
img
শাকিবের নায়িকা হতে ইধিকার পারিশ্রমিক ৩০ লাখ! Oct 30, 2025
img
অক্টোবরেই চূড়ান্ত সুখবর পেলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা Oct 30, 2025
img
কোনো গোলামিতন্ত্র আমরা চাই না: জাহিদুল ইসলাম Oct 30, 2025
img
অফিসে শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির Oct 30, 2025
img
গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন জুলাই যোদ্ধার Oct 30, 2025
img
ভোটকেন্দ্র স্থাপনের অবকাঠামো মেরামতের নির্দেশ ইসির Oct 30, 2025
img
কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রতি দুর্বলতা দেখানো যাবে না : ডিএমপি কমিশনার Oct 30, 2025
img
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন আপিল কমিটি গঠন Oct 30, 2025
img
পরিবারসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হয়নি দুর্নীতির ৩ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ Oct 30, 2025
img
আদেশ আজ হলে উত্তম, না হলে অবশ্যই কাল : তাহের Oct 30, 2025