অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো একটি বিশেষ দলের দিকে ঝুঁকে না পড়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব নিয়ে দর-কষাকষি (বার্গেনিং) করা ঠিক হবে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
সাকি সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের দেওয়া এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জামায়াত নেতা বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে গেলেও অসুবিধা নেই, কিন্তু তাদের গণভোট আগে হতেই হবে। গণভোট আগে হওয়া আর গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনে, একইদিনে হওয়ার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্যগত পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, আমরা গণভোটের মধ্যে যা কিছু অর্জন করতে চাচ্ছি, সেটা আগে হলে যা অর্জন করবো, জাতীয় নির্বাচনের দিনে হলেও একই জিনিস অর্জন করবো।
সাকি বলেন, কেবল নিজের রাজনৈতিক প্রস্তাবকে প্রতিষ্ঠিত করার অবস্থান থেকে গণভোটের বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। যারা এই জটিলতা তৈরি করছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য দাঁড়িয়ে যাচ্ছে যে হয় নির্বাচনকে পেছাতে হবে অথবা পরিস্থিতির জটিলতাকে আরও গভীর করতে হবে অথবা বার্গেনিং করতে হবে (দর-কষাকষি)।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি বলেন, এ সনদ শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি দায়িত্ব। জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে যেন আমরা বার্গেনিং না করি। বার্গেনিং করে আমরা যেন ক্ষমতার অংশীদারিত্ব না চাই। এটা রক্তের ঋণের দায় বহন করা। এটাকে আমরা রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে যেন পরিণত না করি। সেটা আমাদের কারও জন্যই ভালো নয়।
কেএন/টিকে