জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়াদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ২৯ শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সেই ২৯ জনসহ বিভাগের মোট ৩৯ জনের গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রতারণার মাধ্যমে যারা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং তালিকাভুক্ত করতে যারা সহায়তা করেছেন ও বেআইনিভাবে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নয়, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হয়নি এবং কয়েক জনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়া গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গেজেট বাতিল হওয়া চট্টগ্রাম জেলার ২৯ জনের মধ্যে ‘খ’ শ্রেণিতে আছে এক জন। তিনি হলেন মো. সাগর, গেজেট নম্বর ৩২৮। অপর ২৮ জন ‘গ’ শ্রেণির আবদুল্লাহ আল নোমান; গেজেট নম্বর ৪৬৯, নাঈম উদ্দীন সাইদ; গেজেট নম্বর ৪৯২, মোহা. শরিফুল ইসলাম; গেজেট নম্বর ৫১৫, শাহাদাত ইকরাজ তাহনি; গেজেট নম্বর ৫২১, তাহমিনা ইকরাম; গেজেট নম্বর ৫২২, মাহিবী তাজওয়ার; গেজেট নম্বর ৫৩৪, জসিম উদ্দিন; গেজেট নম্বর ৫৪২, মো. আতিকুল ইসলাম; গেজেট নম্বর ৫৫২, মো. ইয়াছিন; গেজেট নম্বর ৫৬০, আরফাতুল ইসলাম; গেজেট নম্বর ৫৯৫, ফরহাদ আলম; গেজেট নম্বর ৬০১, মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির এমরান; গেজেট নম্বর ৬০৩, মুনতাসিরুল হক চৌধুরী মামুর; গেজেট নম্বর ৬১৬, পবন চন্দ্র নাথ; গেজেট নম্বর ৬২২, মিশকাত আলম রিয়াদ; গেজেট নম্বর ৬৭৫, মো. এমরান; গেজেট নম্বর ৭১৭, মোহাম্মদ সাগর; গেজেট নম্বর ৭৬৮, নূরুল্লাহ; গেজেট নম্বর ৭৮৯, মোহাম্মদ রাফি; গেজেট নম্বর ৭৯৯, ফয়সাল মোহাম্মদ শিহাব; গেজেট নম্বর ৮০২, মোছা. ইছনিয়া আকতার; গেজেট নম্বর ৮২৪, মো. মাঈনুদ্দীন; গেজেট নম্বর ৮২৫, সাইমন; গেজেট নম্বর ১৯৭৩, মো. আরিফ; গেজেট নম্বর ১৯৭৬, রাসেল; গেজেট নম্বর ১৯৮৬, রমজান আলী; গেজেট নম্বর ১৯৮৭, মাহিম চৌধুরী; গেজেট নম্বর ১৯৯১, রিফাত বিন আল; গেজেট নম্বর ১৯৯৯।
সরকারি গেজেটে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের সংখ্যা ৮৩৬ এবং আহত ১৩ হাজার ৮০০ জন। জুলাই যোদ্ধারা মাসিক সম্মানিসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পান। অতি গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ‘ক’, গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ‘খ’ এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য ‘গ’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
‘ক’ শ্রেণির আহতদের মাসিক সম্মানি ২০ হাজার, ‘খ’ শ্রেণির ১৫ হাজার এবং ‘গ’ শ্রেণির জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ‘ক’ শ্রেণির আহত ব্যক্তিরা এককালীন অনুদান ৫ লাখ টাকা, ‘খ’ শ্রেণি ৩ লাখ টাকা ও ‘গ’ শ্রেণির আহতরা এককালীন ২ লাখ টাকা করে পাবেন।
আহত ব্যক্তিদের জন্য ঢাকার মিরপুরে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রকল্প রয়েছে। তারা আজীবন সম্মানি, চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সুবিধাও পাবেন।
এবি/টিকে