নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, অনেক জল ঘোলা করেছেন।একবার দেব না বলে ফেলছেন, এই ইগোর জায়গা থেকে বেরিয়ে আসুন। কমিশন শাপলা কলি দিতে চেয়েছেন, তা দ্রুতই শাপলা হয়ে ফুটবে।
             
        
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারোয়ার তুষার বলেন, শাপলা কলি দেওয়ার মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে এনসিপি বাচ্চাদের দল। গত ১৭ বছর রাজনীতি ও গণমাধ্যমের কোন স্বাধীনতা ছিল না। এই বাচ্চাদের তীব্র আন্দোলনের দ্বারা স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। ফরিদপুরে শাপলা হবে নৌকার বিকল্প । নৌকা ডুবে যাবে, শাপলা পানিতে ফুটে উঠবে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন বিশেষ দল দ্বারা প্রভাবিত। এদের দিয়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। 
এনসিপির এই নেতা বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি যদি সংস্কারে অনড় না থাকতো, তাহলে বাংলাদেশে কোন সংস্কার হতো না। এই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু ভোট অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ পদ্ধতি বাস্তবায়নের আগেই জুলাই সনদ স্বাক্ষরের নামে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এক মহা প্রতারণা করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করে নাই। কারণ জুলাই সনদ কিভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেটা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা স্বাক্ষর করতে পারি না।
 
সারোয়ার তুষার বলেন, বিএনপি না ভোটের ক্যাম্পিং করছে। তাদের ৩০ শতাংশ ভোট না ভোটের পক্ষে গেলেও বাকি বিপুল ভোটে জুলাই সনদ পাশ হবে। তখন তারা আয়নায় মুখ দেখাতে পারবে না। এরা অতীত থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে হ্যাঁ এবং না ভোটের আয়োজন করেছিলেন। অথচ এই বিএনপি হ্যাঁ না ভোটের বিরোধীতা করছেন।
তিনি বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে জাতীয় পার্টি। এরা ভারতের এজেন্ট, জাতীয় পার্টির ব্যানারে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা করার যে চেষ্টা চলছে তা দেশের জনগণ মেনে নেবে না। গণতন্ত্র ধংসের কারসাজিতে আওয়ামীগের পরেই জাতীয় পার্টি দায়ি।
 
এনসিপির ফরিদপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন। এনসিপির নগরকান্দা উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মাদ নাজমুল হুদার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এনসিপির মাদারীপুর জেলা প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল হাওলাদার, রাজবাড়ী জেলা সমন্বয়কারী ও সিটি নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জামিল হোসেন হৃদয়, রাজবাড়ী জেলার এনসিপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহমেদ, শরীয়তপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারি অ্যাড. মো. রুহুল আমিন।
 
এ সময় ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা এনসিপির সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। 
এমআর/টিকে