‘সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে’ - আরপিও সংশোধনে ক্ষুব্ধ ডা. তাহের

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। ওই বার্তায় তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আরপিও সংশোধন, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, ভোটে নির্বাচনের প্রতীক ব্যবহার, জুলাই সনদ, নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ এনেছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি এ ভিডিও বার্তা দেন।

ভিডিও বার্তায় ডা. তাহের বলেন, গত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আগের সপ্তাহে গৃহীত আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল। এর মাধ্যমে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের কর্মকাণ্ড অতীতেও একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডনে গিয়ে একটি দলের চাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে পরিষদের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তারই উদাহরণ।

ডা. তাহের বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা সরকারের নিরপেক্ষতার ক্ষতি করেছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না এবং এর নিন্দা জানাই।

তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদ উভয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, প্রতিটি দল নিজ নিজ প্রতীকেই নির্বাচনে অংশ নেবে। আমরা সেই সিদ্ধান্তের পক্ষেই আছি এবং জাতিও এর সঙ্গে একমত। তাই আমরা আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ হবে।

বিএনপি ইস্যুতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, জনগণ ফেব্রুয়ারিতে একটি জাতীয় নির্বাচন চায়। নির্বাচনের ঠিক আগে এ ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা কোনো চাপে নতি স্বীকার করবেন না।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাওয়া মানে হবে নিজেরই সংস্কার কর্মসূচি পরিত্যাগ করা। প্রধান উপদেষ্টা তার নিজের পরিকল্পনাকে নিজ হাতে ধ্বংস করবেন এটা জাতি বিশ্বাস করে না।

শেষে ডা. তাহের বলেন, আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় অবস্থান নেবেন, সংস্কার বাস্তবায়নে সঠিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জলাবদ্ধতা নিরসনে এক বছরে অগ্রগতি ৫০ শতাংশ : চসিক মেয়র Nov 02, 2025
img
সুশাসন চাইলে যোগ্য লোকের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: মাসুদ সাঈদী Nov 02, 2025
img
শাহরুখের সাম্রাজ্য সামলানোর জন্য কত কোটি পারিশ্রমিক পান পূজা? Nov 02, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫

ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত Nov 02, 2025
img
প্রেমিকার জন্মদিনে আবেগী ও রোমান্টিক বার্তা হৃতিক রোশনের Nov 02, 2025
img
মেয়ের জন্মদিনে কাঞ্চন মল্লিকের আবেগঘন বার্তা Nov 02, 2025
img
জকিগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের অনুপ্রবেশ, স্থানীয়দের ধাওয়া Nov 02, 2025
img
৫২ বছর বয়সেও কোটি ভক্তের হৃদয়ে ঐশ্বরিয়া Nov 02, 2025
img
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতেই অমর একুশে বইমেলা Nov 02, 2025
img
মান্নতে আসছেন না শাহরুখ, হতাশ হাজারো ভক্ত Nov 02, 2025
img
ডা. শফিকুর রহমানকে মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা চরমোনাই পীরের Nov 02, 2025
img
খাবারের খোঁজে দুই দিন ধরে রাস্তায় ঘুরছিলেন শাহরুখ! Nov 02, 2025
img
অন্য দেশের ‘সরকার বদলের’ মার্কিন নীতি শেষ : তুলসী গ্যাবার্ড Nov 02, 2025
img
এল ক্লাসিকোয় এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস দেখে প্রাণ গেল রিয়াল সমর্থকের Nov 02, 2025
ডিফেন্স ইকোনমিক জোন গঠনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের Nov 02, 2025
img
সিদ্ধান্তে ভুল নেই, আছে অভিজ্ঞতা : পায়েল সরকার Nov 02, 2025
img
বিপিএলে থাকছে না নোয়াখালী সহ দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি Nov 02, 2025
img
পরিকল্পিতভাবে বলা হচ্ছে বিএনপি সংস্কার চায় না : মির্জা ফখরুল Nov 02, 2025
img

শাকসু নির্বাচন

তফসিল ঘোষণার আগেই পদত্যাগ করেছেন বিএনপিপন্থি ৪ শিক্ষক Nov 02, 2025
img
পদত্যাগ করলেন বৈছাআর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক Nov 02, 2025