দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানডে বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বিশ্বকাপের পর থেকে এই ফরম্যাটে টাইগারদের পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি।
অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাদের দারুণ ছন্দ দেখা যাচ্ছে। টানা চারটি টি-২০ সিরিজ জয়কে পেছনে রেখে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এই সিরিজে টাইগারদের মুখে খেলার আনন্দের পরিবর্তে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ লেগেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দুটিতেই দেড়শর আগে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দেড়শ ছাড়ালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ লক্ষ্য উতরে গেছে ২৩ বল হাতে রেখে। বাংলাদেশ না ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারছে, না পারছে ফিল্ডিংয়ে। এসব ব্যর্থতার কারণ হিসেবে লিটন বলেছেন বিরতিহীনতার কথা।
ক্রিকেটাররা টানা ক্রিকেট খেলছে দাবি করে লিটন রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলাপ তুলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘অলমোস্ট দুই–আড়াই মাস ধরে ক্রিকেট খেলছে, ব্যাক টু ব্যাক। আমার মনে হয় মাঝেমধ্যে বিরতিও গুরুত্বপূর্ণ। এখন একটা বিরতি আছে। এটার পর আবার রিফ্রেশ হয়ে আসতে পারবে। মনে হয় ভালো কিছুই হবে।’
বাংলাদেশের ১৫১ রানে অলআউট হওয়ার ইনিংসে তানজিদ তামিমের ৮৯ ও সাইফ হাসানের ২৩ বাদে আর কেউ দশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিং ব্যর্থতার এই চিত্র কেবল এই ম্যাচে না, বাংলাদেশের জন্য নিয়মিত ঘটনা। রান করার দিক থেকে বলতে গেলে সবাই অধারাবাহিক। এতে অবশ্য লিটন চিন্তার কিছু দেখছেন না। ‘চিন্তার কোনো বিষয় না। এখানে যারা ক্রিকেট খেলে তারা প্রুভেন। অনেক দিন ধরেই খেলে আসতেছে। মাঝেমধ্যে দুয়েকটা সিরিজ এমন যেতে পারে।’
ভালো করতে ব্যাটারদের শটের বৈচিত্র বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন লিটন। টাইগার দলপতি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের স্কিল বাড়াতে হবে, সব ধরনের শট খেলতে হবে। আমরা অল্প কয়েকজন ব্যাটসম্যান রিভার্স সুইপ খেলি, সেটাও একটা পয়েন্টে গিয়ে। বিশ্ব ক্রিকেট কিন্তু এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এই ঘূর্ণি উইকেটে যারা ব্যাটিং করে, তারা রিভার্স সুইপ মারে। সেই দিক দিয়েও আমরা একটু পিছিয়ে আছি। ওই জিনিসগুলো নিয়েও কাজ করতে হবে। আপনি যত পারেন আপনার শক্তি বাড়াবেন। কিন্তু কখন তা প্রয়োগ করবেন, সেটা আপনার খেলার ওপর নির্ভর করবে।’
টিএম/ টিএ