ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হওয়া মশাল মিছিলটি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থী এবং হল সংসদের নেতারা অংশ নেন।
এসময় তারা, মোনামী ম্যামের অপমান, সইবে না রে ঢাবিয়ান; নারীদের অপমান, সইবে না রে ঢাবিয়ান; ইভটিজারদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ,মা মায়ের অপমান সইবে না রে ঢাবিয়ান; মুজতবার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ঢাবির শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী ম্যামকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী সাংবাদিক ও বিএনপিপন্থী এক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেসব টেলিভিশন বা পত্রিকার ফেসবুক পেজের রিলস ব্যবসায়ীরা নারীদের টার্গেট করে কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ও ক্যাপশন ছড়াচ্ছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। যদি এই অপসংস্কৃতি বন্ধ না হয়, তবে শিক্ষার্থীরা এর জবাব দেবে।
ঢাবির সূর্যসেন হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা জনগণের সমর্থন নিয়ে যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন, তারপরেও বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখনো বিরাজমান, এটা আপনাদের জন্য লজ্জার।
হাজী মোহাম্মদ মহসিন হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, আমাদের সম্মানিত শিক্ষিকা মোনামী ম্যামকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং শ্লাটশেমিং করার পরেও বিএনপি, ছাত্রদল কিংবা অন্য কারোর কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি না। নারী জাতির প্রতি এ অবমাননার পরও যেন সবাই নিশ্চুপ বসে আছে।
ইউটি