জয় দিয়ে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে-অফের প্রথম রাউন্ড শুরু করেছিল ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটিতে জোড়া গোল করেছিলেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা লিওনেল মেসি। ন্যাশভিলের বিপক্ষে সেদিন তারা ঘরের মাঠে খেলেছেন। একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথমার্ধেই দ্বিগুণ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। ৯০ মিনিটে মেসি ব্যবধান কমিয়েছেন ঠিকই, তবে ২-১ ব্যবধানে হার এড়াতে পারেননি।
এমএলএস কাপের প্লে-অফে প্রতিটি দল একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে তিনটি করে ম্যাচ খেলছে। দুই ম্যাচ শেষে যা ১-১ সমতায় রয়েছে ইন্টার মায়ামি ও ন্যাশভিলে এসসি। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তারা আগামী শনিবার ‘নকআউট’ ম্যাচে লড়বে। আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে ন্যাশভিলের মাঠে নেমেও অবশ্য বল পজেশনে (৬১ শতাংশ) এগিয়ে ছিল মেসি-সুয়ারেজরা। পাশাপাশি ১০ শটের মধ্যে তারা ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বিপরীতে সমান শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে ছিল ন্যাশভিলের।
ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটেই লিড নেয় স্বাগতিক ন্যাশভিলে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে গোলটি করেন স্যাম সারিজ। বিপরীতে লাফ দিয়েছিলেন ইন্টার মায়ামি গোলরক্ষক রোকো রিওস নোভো। বিরতির আগেই তারা লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ৪৫ মিনিটে হানি মুখতারের কর্নার কিকে আসা বলে পা ছুঁয়ে জালে জড়ান জশ বাউয়ের। বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও গোল পাওয়া হচ্ছিল না মায়ামির। বেশ কয়েকবার তাদের হতাশ করেছে ন্যাশভিলে গোলরক্ষক।
হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল হারের পথেই আগাচ্ছিল। নির্ধারিত সময়ের একেবারের শেষ মিনিটে মেসি নাটকীয়তার ইঙ্গিত দেন। বক্সের এক কোণায় কিছুটা জায়গা বানিয়ে দ্বিতীয় গোলপোস্টে জোরালো শট নেন বাঁ পায়ে। নাগালে থাকলেও স্বাগতিক গোলরক্ষক জো উইলিস গতির কাছে পরাস্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বশেষ ৩ ম্যাচে ৬ গোল করলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে ফিরতে হয়েছে ম্যাচ হারের হতাশা নিয়ে।
তৃতীয় ম্যাচে জয়ী দল উঠবে পরবর্তী রাউন্ডে। এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে সিনসিনাতি ও কলম্বাস ক্রু’র লড়াইয়ে বিজয়ী দল। ২০২১ সালের পর প্রথমবার এমএলএস কাপের প্লে-অফে জিতল ন্যাশভিলে। একইসঙ্গে ২০২৩ সালের ১৭ মে’র পর প্রথমবার তারা মায়ামিকে হারাল।
এসএস/টিকে